নিজ মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলেই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। তবে আন্তর্জাতিক টি-২০ চালিয়ে যেতে চান তিনি।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিজের বিদায়ী ম্যাচে নিজ ভক্তদের উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান মালিঙ্গা। বলেন, নিজ মাঠে শেষ ম্যাচ খেলে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য তিনি বোর্ডের কাছে অনুরোধ করেছিলেন এবং বোর্ড তাতে সম্মতি দিয়েছে।
স্ত্রীর ফেসবুকে ভক্তদের জন্য দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় মালিঙ্গা বলেন, কোন কোন কর্মকর্তা ও খেলোয়াড় হয়তো তাকে দল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তবে তাদের প্রতি তার কোন রাগ নেই।
৩৫ বছর বয়সী এ তারকা বলেন, দুই বছর আগেও তিনি দলের বাইরে ছিলেন। তবে সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে তিনি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।
মালিঙ্গা বলেন, ‘শুক্রবার আপনারা আমাকে শেষ ওয়ানডে খেলতে দেখবেন। সম্ভব হলে অনুগ্রহ করে ম্যাচটি দেখতে আসবেন।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মঙ্গলবার অনুশীলনকালে মালিঙ্গা বলেন, তিনি টি-২০ খেলা চালিয়ে যেতে চান এবং তার লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় ২০২০ টি-২০ বিশ্বকাপ খেলা।
তিনি বলেন, ‘আগামী টি-২০ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার আশা করছি। সে টুর্নামেন্টে খেলার একটা সুযোগ পাব বলে আশা করছি। তবে আমার চেয়ে ভালো খেলোয়াড় থাকলে, আমি সুযোগ না পেলেও কিছু মনে করব না।’
অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে সোমবার প্রথম ঘোষণা দেন যে, শুক্রবারের ম্যাচটি হবে ডান হাতি ফাস্ট বোলারের শেষ ওয়ানডে।
কলম্বোর পি সারা স্টেডিয়ামে আগামী ২৬, ২৮ এবং ৩১ জুলাই অনুষ্ঠেয় তিন ম্যাচ সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কার ২২ সদস্যের দলে রয়েছেন মালিঙ্গা।
এখন পর্যন্ত ২১৯ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৫ উইকেট শিকারী হিসেবে অবসর নিচ্ছেন মালিঙ্গা। ওয়ানডে ক্রিকেটে মালিঙ্গার চেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন কেবলমাত্র মুত্তিয়া মুরলিধরন (৫২৩) এবং চামিন্ডা ভাস (৩৯৯)।
এবারের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে সাত ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট শিকারী ছিলেন মালিঙ্গা। মালিঙ্গ ২০১১ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তবে অপর দুই ফরম্যাটে খেলা অব্যাহত রাখেন।