লর্ডসে দ্বাদশ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের বিজয়ী দল নির্ধারণ করা হয়েছে সবচেয়ে বাউন্ডারি বিবেচনায়। এতে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডকে বাউন্ডারির বিবেচনায় হারিয়েছে তারা।
ফাইনাল ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ২৪১ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ফলে টাই হওয়ায় ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ১৫ রান করে ইংল্যান্ড। এরপর জবাব দিতে নেমে সুপার ওভারে ১৫ রান করে নিউজিল্যান্ডও। ফলে এখানেই সমান-সমান ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড।
তবে আইসিসির নিয়মনুযায়ী, ফাইনালে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারা দলটিই জিতে নেয় শিরোপা। ৫০ ওভারের ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল ১৪টি, ওভার বাউন্ডারি ছিল ২টি। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল ২২টি, ওভার বাউন্ডারি ছিল ২টি।
এছাড়া সুপার ওভারে ইংল্যান্ড ২টি বাউন্ডারি ও নিউজিল্যান্ড ১টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকায়। ফলে ১০২ ওভারের ম্যাচে রান সমান হওয়ার পরও বাউন্ডারির বিবেচনায় শিরোপা জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
তবে ফাইনাল ম্যাচে এভাবে জয়ী দল নির্ধারণ না করতে আরও একটি সুপার ওভার হতে পারতো বলে মনে করেন ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বিজয়ী দল নিশ্চিত হতে আরও একটি সুপার ওভার হওয়া উচিত ছিল।’
শচীন বলেন, বাউন্ডারির হিসেব না করে আরও একটি সুপার ওভার হলে দুই দলের পক্ষেই সুবিচার হতো। শুধু বিশ্বকাপ ফাইনাল বলে নয়, প্রতিটা ম্যাচেই যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ তাই সুবিচার করেই জয়ী দল নির্বাচন করা উচিত।
ফাইনালে দু’দলই ভালো পারফরমেন্স করেছে বলে জানান টেন্ডুলকার। তিনি বলেন, অসাধারণ ও উত্তেজনাকর এক ফাইনাল দেখেছি আমরা। এমন ফাইনাল বিশ্বকাপে খুব বেশি দেখা যায়নি। দু’দলই দারুণ পারফরমেন্স করেছে।
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয় ভারতকে। ব্যাটিং অর্ডারে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে আরও আগে নামানো উচিত ছিল বলে মনে করেন টেন্ডুলকার, ‘কার্তিক-হার্ডিকদের আগে পাঠানো উচিত ছিল ধোনিকে। তবে এখন ওইসব আলোচনা করে লাভ নেই। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। আমাদের সেটি নিয়েই ভাবা উচিত।