ক্রিকেট বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১২:৩০ এএম, ১৫ জুলাই ২০১৯
ক্রিকেট বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

ছবি : গেটি ইমেজ

দ্বাদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে তারা এ শিরোপা অর্জন করেছে। সুপার ওভারও টাই হলে বাউন্ডারি বিবেচনায় কিউইদের হারিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ শিরাপা ঘরে তুলে স্বাগতিক ইংল্যান্ড।

রোববার (১৪ জুলাই) লর্ডসের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৫০ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করে ইংল্যান্ড। ফলে ম্যাচ হয় টাই। শিরোপা নির্ধারণের জন্য ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়। সেখানেও টাই হয়। তবে সুপার ওভার টাই হওয়াতে নিয়মনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মারা দল হিসেবে শিরোপা জিতে নেয় ইংল্যান্ড।

টস ভাগ্যটা ভালোই বলা চলে নিউজিল্যান্ডের। ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতেছিল কিউইরা। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ৭ উইকেটে ম্যাচ হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। আজকের ফাইনালেও টস লড়াইয়ে জয় পায় কিউইরা। এবারও প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। তবে এ টস জয় নিউল্যিান্ডের জন্য বিপদই বটে। কারণ লর্ডসে আগের চার ফাইনালে যারাই টস জিতেছে তারাই ম্যাচ হেরেছে। নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনা ঘটলো।

বৃষ্টির কারণে প্রায় ১৫ মিনিট পর শুরু হওয়া ম্যচে ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরুর পথেই হাটচ্ছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস। ৬ ওভারে ২৮ রান সংগ্রহ করেন তারা। তবে সপ্তম ওভারে নিউজিল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ইংল্যান্ড পেসার ক্রিস ওকস। নিজের চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে ১৯ রান গাপটিলকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন ওকস। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন গত আসরে এক ইনিংসে বিশ্ব রেকর্ড ২৩৭ অপরাজিত থাকা গাপটিল।

অফ-ফর্ম ওপেনারকে হারানোর পর ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার নিকোলস ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দ্রুতই উইকেটে সাথে মানিয়ে নিয়ে দলের স্কোর বড় করতে থাকেন এ জুটি।। ২২তম ওভারেই শতরানে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। দলকে শতরানে পৌঁছে দিয়েই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় বিশ্বকাপ এক আসরে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়া উইলিয়ামসনকে।

উইলিয়ামসন আউট হওয়ার সময় অন্যপ্রান্তে হাফ-সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন নিকোলস। পরবর্তীতে হাফ-সেঞ্চুরি তুলেও নেন তিনি। কিন্তু অর্ধশতকের পর নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি নিকোলস। প্লাংকেটের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪টি চারে নিজের ৭৭ বলের ইনিংসটি সাজান নিকোলস।

১০৩ ও ১১৮ রানে দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এ অবস্থায় দলের হাল ধরার দায়িত্ব বর্তায় দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান অভিজ্ঞ রস টেইলর ও উইকেটরক্ষক টম লাথামের। তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ইংল্যান্ডের পেসার মার্ক উড। কোন বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি ছাড়া ৩১ বলে ১৫ রান করা টেইলরকে এলবিডব্লু করেন উড।

জেমস নিশামকে নিয়ে প্রতিআক্রমণের চেষ্টা করেন লাথাম। ইংল্যান্ড বোলারদের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তবে ৩৯তম ওভারের শেষ বলে নিজের ভুল শটে আউট হয়ে যান নিশাম। ৩৯তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৭৩ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন নিশাম। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪১ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ওকস ৩৭ রানে ও প্লাংকেট ৪২ রানে ৩ উইকেট নেন।

সেমিফাইনালে ভারতকে জয়ের জন্য ২৪০ রানের টার্গেট দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। পরবর্তীতে সেই ম্যাচ ১৮ রানে জিতেছিল কিউইরা। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে জয়ের জন্য ২৪২ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। এমন পুঁজিতেও লড়াই করার সাহস করে নিউজিল্যান্ড।বল হাতে ইংল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত হানতে ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় নিউজিল্যান্ডকে।

ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় ওভারে বাউন্ডারি হাকান রয়। তবে ঐ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হয়ে যেতে হয় তাকে। হেনরির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামা রয় ২০ বলে ৩টি বাউন্ডারিতে ১৭ রান করেন। দলীয় ২৮ রানে রয়ের পতনের পর ক্রিজে যান ইংল্যান্ডের ইনফর্ম ব্যাটসম্যান জো রুট। রুটকে ব্যর্থতার স্বাদ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরান নিউজিল্যান্ডের গ্র্যান্ডহোম। উইকেটে সেট হবার জন্য অনেক বল নষ্ট করেছেন রুট। ৩০ বলে মাত্র ৭ রান করেন এই ডান-হাতি ব্যাটসম্যান।

রুট ধীরস্থির থাকলেও ইংল্যান্ডের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন অন্যপ্রান্তে থাকা বেয়ারস্টো। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। দারুন এক ডেলিভারিতে বেয়ারস্টোর উইকেট উপড়ে ফেলেন ফার্গুসন। ৭টি চারে ৫৫ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। দলীয় ৭১ রানে বেয়ারস্টোর ফেরাতে চাপ অনুভব করতে শুরু করে ইংল্যান্ড। কিছুক্ষণবাদেই ইংল্যান্ডের উপর চাপ আরও বেড়ে যায়।

১৫ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৫৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। এ অবস্থায় ১৬ ওভার থেকে ২৩ ওভার পর্যন্ত দু’প্রান্ত দিয়ে বোলিং করেন গ্র্যান্ডহোম-ফার্গুসন। দু’জনে ৭ ওভার একত্রে বল করে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। তারপরও ২৪তম ওভারে ফার্গুসনকে সরিয়ে আচমকা বল হাতে নিশামকে আক্রমণে আনেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক উইলিয়ামসন।

আক্রমণে এসেই নিজের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন নিশাম। উইকেটটি ছিল ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ান মরগানের। উইকেটে গিয়ে সময় নিয়ে সেট হবার চেষ্টা করেছিলেন মরগানও। তাই ২২ বল মোকাবেলা করে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ফার্গুসনের দুর্দান্ত ক্যাচে শেষ হয় মরগানের ইনিংস। এতে ৮৬ রানেই চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। এ অবস্থায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরিভাবে নিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ ও ইংল্যান্ডের চাপের মাঝে ২২ গজে ব্যাট হাতে জুটি বাঁধেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস ও উইকেটরক্ষক জশ বাটলার। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে খেলতে থাকেন স্টোকস-বাটলার। তবে সর্তকতার সাথেই। সেটির প্রমাণ মিলে ২৫ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত। এসময় মাত্র ৬টি বাউন্ডারি মারেন তারা। ফলে ৪০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৭০। শেষ দশ ওভারে ৭২ রান প্রয়োজন পড়ে ইংলিশদের। এ সময় বাটলার ৪২ ও স্টোকস ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

কিছুক্ষণ পর নিজেদের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন স্টোকস-বাটলার। দু’জনেরই ২০তম হাফ-সেঞ্চুরি পান। হাফ-সেঞ্চুরির মাঝেই ১২৬ বলে জুটিতে শতরান পূর্ণ করেন স্টোকস-বাটলার। দু’ব্যাটসম্যানের হাফ-সেঞ্চুরি ও জুটিতে শতরানের কল্যাণে ৪৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান করে ইংল্যান্ড। ফলে শেষ ৬ ওভারে ৫৩ রান দরকার পড়ে ইংলিশদের। এমন সময় ৪৫তম ওভারে নিউজিল্যান্ডকে দারুন এক ব্রেক-থ্রু এনে দেন ফার্গুসন। ঐ ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মারেন বাটলার। পঞ্চম বলে আবারও বাউন্ডারির জন্য সজোরে ব্যাট চালিয়েছিলেন বাটলার। কিন্তু তার নেওয়া শটে বল আকাশে উঠে যায়। ডিপ কভারে দক্ষতার সাথে ছুটে গিয়ে ক্যাচ লুফে নেন দ্বাদশ খেলোয়াড় টিম সাউদি। ফলে ৬টি চারে ৬০ বলে ৫৯ রানে থামে বাটলারের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস।

বাটলার যখন ফিরেন তখন জয় থেকে ৪৬ রান দূরে ইংল্যান্ড। বল বাকি ছিলো ৩১টি। এমন সময় ক্রিজে স্টোকসের সঙ্গী হন টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যান ওকস। ওকসকে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে দেননি ফার্গুসন। ইনিংসের ৪৭ ও নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে ওকসকে ২ রানে আউট করেন ম্যাচে তৃতীয় উইকেট শিকার করেন ফার্গুসন। এরপর ঐ ওভার থেকে ৫ রান পায় ইংল্যান্ড। এর মধ্যে নতুন ব্যাটসম্যান লিয়াম প্লাংকেটের একটি বাউন্ডারি ছিল। ফলে শেষ ১৮ বলে জয়ের সমীকরণ ৩৪ রানে নেমে আসে ইংলিশদের।

বোল্টের করা ৪৮তম ওভার থেকে ১টি বাউন্ডারিতে ১০ রান তুলে নেন স্টোকস-প্লাংকেট। জয়ের সমীকরণ তখন দাঁড়ায় ১২ বলে ২৪ রান। ৪৯তম ওভারে নিশামের প্রথম দু’বল থেকে ২ রান পায় ইংল্যান্ড। তৃতীয় ডেলিভারিতে প্লাংকেটকে বিদায় দেন নিশাম। বোল্টকে ক্যাচ দিয়ে ১০ রানে থামেন প্লাংকেট। চতুর্থ ডেলিভারিতে ছক্কা মেরে উত্তেজনা তৈরি করেন স্টোকস। পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে নবম ব্যাটসম্যান জোফরা আর্চারকে স্ট্রাইক দেন স্টোকস। কিন্তু ঐ ওভারের শেষ বলে আর্চারকে শূন্য রানে বোল্ড করেন নিশাম। এমন অবস্থায় শেষ ৬ বলে ১৫ রান দরকার পড়ে ইংল্যান্ডের।

বিশ্বকাপের ও ম্যাচের শেষ ওভার বোলিং করতে আসেন বোল্ট। প্রথম দুই বলে কোন রানই নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। তৃতীয় বলে মিড-উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন স্টোকস। শেষ ২ বলে ৩ রান দরকার পড়ে ইংল্যান্ডের। পঞ্চম বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন আদিল রশিদ। ফলে ১ রান পায় ইংল্যান্ড। তাই শেষ বলে ২ রান প্রয়োজন পড়ে ইংল্যান্ডের। শেষ বলে ২ রানের জন্য ছুটে রান আউট হন মার্ক উড।১ রান পায় ইংল্যান্ড। ম্যাচটি হয় টাই।

নিয়মনুযায়ী শিরোপা নির্ধারণের জন্য ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এ প্রথম কোন ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ালো। স্টোকস ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৮ বলে অপরাজিত ৮৪ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের ফার্গুসন ও নিশাম ৩টি করে উইকেট নেন।

সুপার ওভার
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ব্যাট হাতে নামেন ইংল্যান্ডের বাটলার ও স্টোকস। দু’জনই ঐ ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন। বাটলার ৫৯ ও স্টোকস ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। সুপার ওভারের প্রথম বলে ৩ রান নেন স্টোকস, পরের বলে ১ রান নেন বাটলার, তৃতীয় বলে বাউন্ডারি মারেন স্টোকস, চতুর্থ বলে ১ রান নিয়ে বাটলারকে স্ট্রাইক দেন স্টোকস। ফলে ৪ বলে ৯ রান পায় ইংল্যান্ড। পঞ্চম বলে ২ রান ও শেষ বলে বাউন্ডারি মারেন বাটলার। ফলে ১ ওভারে ১৫ রান সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। ম্যাচ জিততে ১৬ রানের টার্গেট পায় নিউজিল্যান্ড।

জবাবে ইংল্যান্ডের পেসার আর্চারের প্রথম ৫ বল থেকে ১৪ রান তুলে ফেলেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার নিশাম। শেষ বলে জয়ের জন্য ২ রান দরকার পড়ে কিউইদের। শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন গাপটিল। সুপার ওভারও টাই হয়। তবে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মারার কারণে শিরোপা জিতে নেয় ইংল্যান্ড।

ফল : সুপার ওভারে ইংল্যান্ড জয়ী
ম্যাচ সেরা : বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)।



শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

বিশ্বকাপের লিগ পর্বের সেরা মুহূর্তগুলো

বিশ্বকাপের লিগ পর্বের সেরা মুহূর্তগুলো

লর্ডসের অনার্স বোর্ডে যুক্ত হলো মোস্তাফিজের নাম

লর্ডসের অনার্স বোর্ডে যুক্ত হলো মোস্তাফিজের নাম

বিশ্বকাপে অধিনায়ক মাশরাফির রেকর্ড

বিশ্বকাপে অধিনায়ক মাশরাফির রেকর্ড

বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্মরণীয় ৫ রোমঞ্চকর মুহূর্ত

বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্মরণীয় ৫ রোমঞ্চকর মুহূর্ত

দ্বাদশ আসর যাদের শেষ বিশ্বকাপ

দ্বাদশ আসর যাদের শেষ বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ১০ মিলিয়ন ডলার

বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ১০ মিলিয়ন ডলার

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান

বিশ্বকাপের দশ অধিনায়কের তথ্য

বিশ্বকাপের দশ অধিনায়কের তথ্য