স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে জায়গা করে দিতে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান পিটার হ্যান্ডসকম্বের সৌভাগ্যের দরজা খুলে গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তার খেলা প্রায় নিশ্চিত।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার মাঠে নামা হলে এটাই হবে বিশ্বকাপে তার অভিষেক ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইনজুরি আক্রন্ত শন মার্শের স্থানে দলে অন্তর্ভূক্ত হয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী হ্যান্ডসকম্বের। হ্যামস্ট্রিং সমস্যার কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েন উসমান খাজা। সে কারণেই ব্যাটিং লাইন-আপ শক্তিশালী করতে হ্যান্ডসকম্বকে ডাকা হয়।
ল্যাঙ্গার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি তোমাদের কাছে সত্যি কথাই বলতে চাই। অবশ্যই পিটার খেলছে এবং এটা শতভাগ সত্যি। এটা তার প্রাপ্য। প্রাথমিক দলে তার সুযোগ না পাওয়াটা ছিল দুর্ভাগ্য। এ মুহূর্তে দারুন ছন্দে আছে হ্যান্ডসকম্ব। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়েও সে ভালো খেলেছে। মিডল অর্ডারে তাকে পেয়ে দলের ভারসাম্য ফিরে এসেছে।’
ল্যাঙ্গার আরও নিশ্চিত করেছেন খাজার বদলী হিসেবে দলে এসেছেন ম্যাথু ওয়েড। তবে তার জন্য আইসিসির টেকনিক্যাল কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ল্যাঙ্গার বলেন, ঘরোয়া আসরে ওয়েড দারুণভাবে নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। যদি সে দলে সুযোগ পায় তবে অভিজ্ঞতার নিরিখে বলাই যায় তার ব্যপারে আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী।
এদিকে পিঠের ইনজুরিতে ভোগা মার্কাস স্টয়নিস অস্ট্রেলিয়াকে কিছুটা সুখবর দিয়েছেন। নেটে তিনি নিজেকে ফিট প্রমাণ করেছেন।
সোমবার অনুশীলনে খেলোয়াড়দের খালি পায়ে পুরো মাঠ হাঁটতে দেখা গেছে, ল্যাঙ্গার নিজেও এ সময় খেলোয়াড়দের সাথে হেঁটেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ল্যাঙ্গার বলেন, বিষয়টি চমৎকার। ম্যাথু হেইডেন ও আমি প্রতি টেস্ট ম্যাচের আগেই এটা করতাম। অনেকটা কুসংষ্কার থেকেই আমরা এটা করতাম। আসলে গত এক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের দিকে তাকালে দেখা যাবে কি ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা হয়েছিলাম। এটা শুধুমাত্র আমাদের ক্রিকেটকে নয়, পুরো দেশকেই প্রভাবিত করেছিল। তবে কঠোর পরিশ্রম করে আমরা আবারও পুরোনো জায়গায় ফিরে এসেছি। ভালো ক্রিকেট উপহার দেওয়াই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।