ইংল্যান্ডে চলছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। কিন্তু আবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। রসিকতা নয়। সত্যিকার অর্থেই বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে এটি আন্তসংসদীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের আইনপ্রণেতারা সংসদের আসন ছেড়ে এবার ব্যাট-বল হাতে মাঠে নামছেন।
বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের দিনে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) শুরু হয়ে গেল আন্তসংসদীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপও। স্বাগতিক ইংল্যান্ডসহ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে মোট আটটি দেশ। বাকি দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। তিন দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুলাই।
৬ ওভারের অভিনব এ টুর্নামেন্টের ধারণাটি এসেছে ব্রিটেনের সংসদ সদস্য ক্রিস হিটন-হ্যারিসের মস্তিষ্ক থেকে। গত শীতের মৌসুমে অস্ট্রেলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে একটি ম্যাচ খেলার সময়ই এ টুর্নামেন্টের ধারণা আসে তার মাথায়, রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন হিটন-হ্যারিস।
কিন্তু কেন এমন অভিনব টুর্নামেন্টের আয়োজন?
উত্তরে হিটন-হ্যারিস জানিয়েছেন, দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই টুর্নামেন্ট, মানুষকে আয়েশ করার সুযোগ দেওয়ার দারুণ একটি উপায় হলো ক্রিকেট। কারণ এটি দেখতে দেখতে কয়েক ঘণ্টা একসঙ্গে সময় কাটানো যায়। ক্রিকেটের সুবাদে মানুষ একে অন্যের কাছাকাছি আসতে পারে, এতে করে একজনের প্রতি অপরজনের ভালোবাসা বাড়ে, সম্পর্কের উন্নতি হয়। প্রথাগত উপায়ে সম্পর্ক উন্নতি করার চেয়ে এটি অনেক ভালো পদ্ধতি।
হিটন-হ্যারিস জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড দলে দেখা যেতে পারে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনকেও। এ ছাড়া পাকিস্তানের হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক ইমরান খানকেও।
আন্তসংসদীয় ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যরা এরপর ১৪ জুলাই থেরেসা মের সঙ্গে বসে বিশ্বকাপ ফাইনাল উপভোগ করারও সুযোগ পাবেন।