চলতি দ্বাদশ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারেন ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি। ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি যদি ফাইনালে ওঠে এবং ১৪ জুলাই লর্ডসে শিরোপা জয় করে তবে অবসর নেওয়ার জন্য সেটাই হবে ভারতীয় কিংবদন্তীদের একজন ধোনির অবসরে যাওযার যথার্থ সময়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এক কর্মকর্তা ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিঅকে (পিটিআই) বলেছেন, ‘ধোনির অবসরের বিষয়ে আপনি কখনোই কিছু বলতে পারবেন না। তবে এ বিশ্বকাপের পর তিনি হয়তো আর ওয়ানডে খেলা অব্যাহত নাও রাখতে পারেন। হঠাৎ করেই তিন ফর্মেট থেকে তার অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে এ মুহূর্তে এ বিষয়ে কোন ধারণা করাটা খুবই কঠিন।’
আগামী অক্টোবরের এজিএম পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করা বর্তমান দল নির্বাচন কমিটি অবশ্যই আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য পরিবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করবে। নতুন নির্বাচন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে অবশ্যই চিন্তা-ভাবনা করবে।
ভারত বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা বিসিসিআই স্পর্শ কাতর বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিনিশার হিসেবে পরিচিত থাকলেও চলতি বিশ্বকাপে সেটা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন ধোনি। এ নিয়েও অনেকেই ধোনির সমালোচনা করছেন।
শচিন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলির মতো সাবেকরাও ধোনির অ্যাপ্রোচ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। তবে উইকেটরক্ষক হিসেবে তার বিকল্প নেই। মাঠে তার অসামান্য অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারছে না।
সংবাদ মাধ্যমটিতে ভারতের সাবেক এক খেলোয়াড় বলেন, ‘২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই টিম ম্যানেজমেন্টের একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। তখন তারা আরও দুই বছর ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধোনির পিছনে ইনভেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার কাছ থেকে খুব ভালো পারফরমেন্স না পাওয়া সত্ত্বেও ভারত সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। সুতরাং সতর্কভাবে তাকে রক্ষা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ তাকে অবসর নিতে বলতে পারেন না। তবে এটা নিশ্চিত যে বিশ্বকাপের পরে সব কিছু একই রকম থাকবে না।’