বাংলাদেশের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে ওয়ানডেতে ২শ’ ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বার্মিংহামের এডজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমে এ মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তবে ব্যাট হাতের নিজের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তামিম। টাইগার ভক্তদের অনেকটাই হতাশ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের চতুর্থ হলেও বিশ্বের ৮২তম খেলোয়াড় হিসেবে ওয়ানডেতে ২শ’ ম্যাচ খেললেন ৩০ বছর বয়সী তামিম ইকবাল। তামিমের আগে বাংলাদেশের হয়ে ২শ’ ম্যাচ খেলার স্বাদ নিয়েছেন বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।
২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারিতে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তামিম ইকবালের। সময় গড়ানোর সাথে সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় হয়ে ওঠেছেন তিনি। ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুড়ি ফুটিয়ে ওপেনার হিসেবে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নেন তামিম।
ক্যারিয়ারের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৫ রান করেন তামিম। পঞ্চম ইনিংসেই প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। পোর্ট অব স্পেনের ভারতের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৩ বলে ৫১ রান করেন তামিম।বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে অভিষেকের এক বছর পর প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম। ২০০৮ সালের ২২ মার্চ ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ১৩৬ বলে ১২৯ রান করেছিলেন তিনি।
ক্যারিয়ারের মাইলফলক ছোয়ার ম্যাচেও খুব বেশি সাফল্য পাননি তামিম। নিজের ৫০তম ম্যাচে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর শততম ম্যাচে ৩ রানে আউট হন তামিম। তবে ক্যারিয়ারের দেড়শতম ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছিলেন তিনি। ৬১ রান করেছিলেন তামিম।
তবে নিজের ২শ’তম ম্যাচটি স্মরণীয় করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে নেমে ৩১ বল মোকাবেলা করে মাত্র ২২ রানে আউট হয়েছেন তামিম। শুধু এ ম্যাচে নন, চলমান বিশ্বকাপেই ব্যাট হাতে নিজের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি বাংলাদেশের এ ওপেনার।
তামিমের ব্যাটিং পরিসংখ্যান ২শ’ ইনিংসে ১১টি সেঞ্চুরি ও ৪৭টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬৮৬৩ রান। ব্যাটিং গড়- ৩৪ দশমিক ৩১।
এছাড়া বাংলাদেশের জার্সি সাদা গায়ে এখন পর্যন্ত ৫৮ ম্যাচে ১১২ ইনিংসে ৪৩২৭ রান ও ৭৫টি টি-২০ ম্যাচে ১৬১৩ রান করেছেন তামিম।