ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। সেটিও কিনা বিশ্বকাপের মঞ্চে। আভিস্কা ফার্নান্দোর জন্য সোমবার দিনটা সত্যিই ‘সোনায় মোড়ানো’ দিন হিসেবে ধরা দিল। ২১ বছর বয়সী তরুণের আলো ছড়ানোর দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা গড়ল পাহাড় পুঁজি।
ক্যারিবীয়দের এ ম্যাচ জিততে হলে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়তে হবে।
সোমবার (১ জুলাই) ইংল্যান্ডের রিভারসাইড গ্রাউন্ডের চেস্টার-লি স্ট্রেটে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে শ্রীলংকা। উদ্বোধনী জুটিতে প্রথম ১০ ওভারে ৪৯ রান সংগ্রহ করেন দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরেরা। তারা জুটির শতরান গড়ার পথেই ছিলেন।
১৫.২ ওভারে জেসন হোল্ডারের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন দিমুথ করুনারত্নে। তার আগে ৯৩ রানের জুটি গড়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে ৪৮ বলে ৩২ রান করেন লংকান অধিনায়ক। তার বিদায়ের ঠিক ১১ রানের ব্যবধানে নেই কুশল পেরেরার উইকেট। ইনিংসের শুরু থেকে একের পর এক বাউন্ডরি হাঁকিয়ে ফিফটি তুলে নেয়া কুশল পেরেরা রান আউট হন। তার আগে ৫১ বলে আটটি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করেন তিনি।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে অভিষেক ফার্নান্দোর সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস। ৪১ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ৩৯ রান করেন আউট হন মেন্ডিস। এরপর অ্যাঞ্জোলো ম্যাথিউসকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ফের ৫৮ রানের জুটি গড়েন ফার্নান্দো।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে যাওয়া ম্যাথিউস ২০ বলে ২৬ রান করতেই জেসন হোল্ডার বলে বোল্ড হয়ে যান। তবে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান অভিষেক ফার্নান্দো। ক্যারিয়ারের নবম ম্যাচ খেলতে নেমে বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তার অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৩৮ রানের পাহাড় গড়ে শ্রীলংকা।
ইনিংস শেষ হওয়ার ১৬ বল আগে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ফার্নান্দো। তার আগে দলের হয়ে ১০৩ বলে নয়টি চার ও দুটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন। তবে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করে ৩৩ বলে চারটি বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৪৫ রান করেন লাহিরু থিরিমান্নে।