পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান। নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ছয় উইকেটে হারার পর নিউজিল্যান্ডের স্পিনিং অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান দলটাই এমন যে একবার মোমেন্টাম পেয়ে গেলে তাদের আর থামানো যায় না। ২০১৭ সালেও (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) সেটা দেখেছি আমরা।’
স্যান্টনার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদাহরণ টানলেও পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণা এখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ। সেবার একদম খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইমরান খানের দল।
এই বিশ্বকাপে ১৯৯২ আসরের সঙ্গে হুবহু মিল রেখে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। প্রথম সাত ম্যাচের ফল অবিশ্বাস্যভাবে মিলে যাওয়ায় আরেকটি রূপকথার আশায় বুক বেঁধেছে পাকিস্তানের সমর্থকরা।
কিন্তু বাস্তবতা হল, এখনও কোনো উপসংহারে পৌঁছানোর মতো শক্ত অবস্থানে যেতে পারেনি সরফরাজ আহমেদের দল। ইংল্যান্ড ও শ্রীলংকা যদি তাদের বাকি ম্যাচগুলোর অন্তত একটিতে হারে সেক্ষেত্রেই শুধু নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ জিতলে সেমিফাইনালের টিকিট পাবে পাকিস্তান। তাদের শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে। তার আগে আজ হেডিংলিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি পাকিস্তান।
সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তান এখন সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় এই ম্যাচে বাংলাদেশের শর্তহীন সমর্থন থাকবে আফগানিস্তানের পক্ষে।
আজ জিতলে বাংলাদেশ (৭) ও ইংল্যান্ডকে (৮) টপকে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে যাবে পাকিস্তান।