পর পর দুই ম্যাচে জয় পাওয়া আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায়। চলতি বিশ্বকাপে ৩৬তম ম্যাচে লিডসে শনিবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে এ ম্যাচ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলে সেমিফাইনালের দৌঁড়ে টিকিয়ে থাকবে পাকিস্তান। সাত ম্যাচে সাত পয়েন্ট পেয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে থাকা সরফরাজ আহমেদের দলটিকে শেষ চারে খেলতে হলে বাকি দুই ম্যাচেই জিততে হবে। তবে কেবলমাত্র নিজেরা জয় পেলেই হবে না, গ্রুপ পর্বের অন্য ম্যাচগুলোর ফলের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
গত ১৬ জুন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের কাছে পরাজিত হওয়ার পর ভক্ত-সমর্থক ও সাবেক ক্রিকেটারদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে পাকিস্তান দলকে। তবে সব সমালোচনা হজম করে ইতোমধ্যেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরে আসরে টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখে ১৯৯২ চ্যাম্পিয়নরা।
ব্ল্যাকক্যাপদের বিপক্ষে সর্বশেষ জয়ে নিঃসন্দেহে তাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে সে সময় পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকা দুই দলের একটি কিউইদের বিপক্ষে পারফরমেন্স বিবেচনায়।
মোহাম্মদ আমির শাহিন আফ্রিদি এবং ওয়াহাব রিয়াজের সমন্বয়ে গঠিত পেস আক্রমণ বিভাগ বেশ ফর্মে রয়েছে এবং ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সকলেই ব্রেক থ্রু এনে দিচ্ছে। হারিস সোহেলকে অন্তর্ভুক্ত করায় তাদের ব্যাটিং লাইন আপও শক্তিশালী হয়েছে। শেষ দুই ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন সোহেল। এছাড়া কিউইদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা বাবর আজমও আছেন সেরা ফর্মে। পার্শ্ববর্তী আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাবরের কাছ থেকে ভালো ইনিংস আশা করছে পাকিস্তান।
পক্ষান্তরে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচে জয় না আফগানিস্তান রয়েছে পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে। সব স্পিনার ভালো করতে পারলে দলটির বোলিং বিভাগ যে কোন দলকে বিপদে ফেলতে পারে। কিন্তু দলটিকে ডুবিয়েছে ব্যাটিং লাইন আপ। প্রতি ম্যাচেই অবনতি হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। এমনকি কেবলমাত্র দুই ম্যাচে তারা ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে সক্ষম হয়েছে। ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারছে না এবং এটাই হচ্ছে তাদের জন্য দুঃশ্চিন্তার কারণ।
তবে যেহেতু হারানোর কিছু নেই তাই আফগানিস্তান তাদের খেলা উপভোগ করবে এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিতভাবে জয় পেতে পারে। যেটা পাকিস্তানের নক আউট পর্বে যেতে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। পাকিস্তানের পরের ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে।
পাকিস্তান দল
ইমাম উল হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াসিম, সাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, হাসান আলী, ওয়াহাব রিয়াজ।
আফগানিস্তান দল
হযরতউল্লা জাজাই, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শাহিদি, নজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, আজগর আফগান, গুলবাদিন নাইব (অধিনায়ক), রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নুর আলী জাদরান, সামিউল্লা সিনওয়ারি, হামিদ হাসান, দৌলত জাদরান, সৈয়দ শিরজাদ ইকরাম আলী খিল।