আফগানিস্তানকে বধের পর বেশ চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে বাংলাদেশ শিবিরে। আগামী ২ জুলাইয়ের আগে কোনো ম্যাচ নেই মাশরাফিদের। সেমিফাইনালের দৌড়ে সেদিন এডজবাস্টনে আসরের অন্যতম ফেভারিট ভারতের মুখোমুখি তারা।
ফর্মের তুঙ্গে থাকা শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে জিততে পারবে কি বাংলাদেশ? এমন প্রশ্ন এখন হরহামেশাই শোনা যাচ্ছে।
কারণ বিশ্বকাপে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব ক্ষেত্রেই দ্যুতি ছড়াচ্ছে ভারতীয় দলের সদস্যরা। রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি থেকে একের পর এক বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানকে ধরাশায়ী করতে হবে।
তবে এমন সমীকরণেও জয়ের বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ সুনীল যোশী। তিনি বলেন, প্রত্যেক দলেরই শক্তি এবং দুর্বলতার জায়গা আছে। আমি ভারতীয় দলে খেলেছি। সেই দলকে খুব কাছ থেকেই দেখেছি। আমি জানি তাদের বিপক্ষে কোথায় বল করতে হবে। তাই ভারতের বিপক্ষে জেতাটা তেমন কষ্টকর হবে না।
এজন্য বাংলাদেশ দলের স্পিন শক্তি সে সাফল্য এনে দিতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। কেননা বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ব্যাটিংটা দারুণ হলেও বোলিংয়ে তেমন ভালো করছিলেন না টাইগাররা। পেস-স্পিন কোনো বিভাগই আশানুরূপ পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারছিল না।
কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে টাইগার বোলারদের জ্বলে ওঠাই যেন ভারত জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে বলে বিশ্বাস করেন যোশী।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত খেলা ৬ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই প্রথমবার ১০ উইকেট তুলে নিতে পেরেছে টাইগাররা। বিশেষ করে স্পিন বিভাগের অসাধারণ পারফম্যান্সে মুগ্ধ গোট বিশ্ব।
সাকিব আল হাসানের ৫ উইকেটের সেই ম্যাচটি চিরস্মরণীয় বলে মনে করেন যোশী।
স্পিনারদের এরকম পারফরম্যান্সে অসামান্য খুশি বোলিং কোচ সুনীল যোশী বলেন, একজন স্পিন কোচ হিসাবে আমি এর চেয়ে বেশি চাইতে পারি না। সন্দেহাতীতভাবে সাকিব একজন কিংবদন্তি। এটা অনেক বড় গর্বের বিষয় যে, বাংলাদেশে সাকিবের মতো একজন খেলোয়াড় আছে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, তিন বিভাগেই সে ধারাবাহিক।
তিনি মনে করেন সাকিবের ঘূর্ণি জাদু ভারতের ব্যাটসম্যানকে দারুণ ভোগাবে।
এছাড়া যাদব-চাহালদের মোকাবেলা করতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের খুব একটা কষ্ট হবে না বলে মনে করেন তিনি।