অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের সেঞ্চুরি ও ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের হাফ-সেঞ্চুরিতে দ্বাদশ বিশ্বকাপের ৩২তম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান করেছে। ফিঞ্চ ১০০ ও ওয়ার্নার ৫৩ রান করেন। উদ্বোধনী জুটিতে দু’জনে ১২৩ রান যোগ করেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) লর্ডসে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়সন্ত সূচনা করেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ২২ দশমিক ৪ ওভারে ১২৩ রানের জুটি গড়েন তারা। ৭১ বল মোকাবেলা করে দলের অর্ধশতক পূর্ণ করেন তারা। তবে মাত্র ৩৬ বলে পরের ৫০ রান সংগ্রহ করেন ফলে ১৭ দশমিক ৫ বলে শতরানের সংগ্রহ পেয়ে যায় অসিরা।
দুই ওপেনারের কেউই হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিতে পারেননি। অর্ধশতকের খুব কাছেই ছিলেন তারা। ফিঞ্চ ৪৮ ও ওয়ার্নার ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। দলের স্কোর তিন অংকে পৌঁছে দিয়েও রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ফিঞ্চ-ওয়ার্নার। কিন্তু দলীয় ১২৩ রানে বিচ্ছিন্ন হতে হয় তাদের।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০তম ও এবারের আসরে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে আউট হন ওয়ার্নার। ৬টি চারে ৬১ বলে ৫৩ রান করা ওয়ার্নারকে আউট করেন ইংল্যান্ডের অফ-স্পিনার মঈন আলি। এই ইনিংসের ফলে এবারের আসরে নিজের রান সংখ্যা ৫০০তে নিয়ে গেলেন ওয়ার্নার।
ওয়ার্নার থামলে উসমান খাজাকে নিয়ে দলকে রান উপহার দিচ্ছিলেন ফিঞ্চ। পাশাপাশি নিজে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু জুটিতে ৫০ রান আসার পর বিদায় নেন খাজা। ইংল্যান্ডের পেসার বেন স্টোকসের বলে বোল্ড হবার আগে ২৯ বলে ২৩ রান করেন তিনি। খাজার বিদায়ের পর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৫তম ও বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ফিঞ্চ।
৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পরের বলেই উইকেট পতনের তালিকায় নাম তুলেন ফিঞ্চ। ইংল্যান্ড পেসার জোফরা আর্চারের বলে আউট হন তিনি। ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৬ বলে ১০০ রান করেন ফিঞ্চ। ফলে এবারের আসরে ফিঞ্চের রান গিয়ে দাড়ালো ৪৯৬ রানে। তাতে সবচেয়ে বেশি রানের দিক দিয়ে তৃতীয়স্থানে নেমে গেলেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। কারণ ওয়ার্নার ৫০০ ও ফিঞ্চ ৪৯৬ রান করেছেন। সাকিবের রান ৪৭৬।
দলীয় ১৮৫ রানে ফিঞ্চ ফিরে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় রান তোলায় ভাটা পড়ে। দুই ওপেনার ফিঞ্চ-ওয়ার্নার ১২৩ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহে ভিত এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরিভাবেই ব্যর্থ হন।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৮ বলে ১২ ও মার্কাস স্টোয়িনিস ৮ রান করে থামেন। তবে এক প্রান্ত ধরে খেলছিলেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তবে তিনিও ৪৬তম ওভারে বিদায় নেন। ৫টি চারে ৩৪ বলে ৩৮ রান করেন স্মিথ। ফলে অস্ট্রেলিয়ার ৩শ রানের সংগ্রহ পাবার আশা শেষ হয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। সাত নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ৫টি চারে ২৭ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেন ক্যারি। ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ৪৬ রানে ২ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া : ২৮৫/৭, ৫০ ওভার (ফিঞ্চ ১০০, ওয়ার্নার ৫৩, স্মিথ ৩৮, ক্যারি ৩৮*, ওকস ২/৪৬)।