শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের আগে নিজ দলের বোলিং আক্রমণ বিভাগকেই এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশের ডান-হাতি পেসার রুবেল হোসেন। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার ইচ্ছা প্রকাশও করলেন রুবেল।
তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা দলে ভালো পেসার আছে। আমাদেরও দলে ভালো পেস বোলার আছে। তবে আমার মনে হয় আমরাই সেরা। আমরাই এগিয়ে থাকব।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে ৮ উইকেটের জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। ১ ওভার বাকি থাকতেই ১৭০ রানে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। দুই বাঁ-হাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ৩টি ও সানজামুল ইসলাম ১টি উইকেট নেন। এছাড়া পেসারদের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমান-রুবেল হোসেন ২টি করে ও মাশরাফি বিন মর্তুজা ১টি উইকেট নেন।
বোলারদের এমন পারফরমেন্স সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। এমনটা মানেন রুবেলও। তাই শ্রীলঙ্কার চেয়ে বোলিং অ্যাটাকে বাংলাদেশ এগিয়ে বলে জানালেন তিনি, ‘মাশরাফি ভাই খুব টাচে আছেন। সে সবসময় ভালো বোলিং করে। মোস্তাফিজও ভালো করছে। ভালো জায়গায় বল করছে। এটা খুব ভালো অপশন। তাই আমাদের দলেই বেশি ভালো পেস বোলার আছে। আমার কাছে মনে হয় আমরাই সেরা। বোলিং-এ বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখব।’
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। কিন্তু অনেকেই বলছেন, কোচ চন্ডিকা হাথরুসিংহেও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। তাই এটি কোন চ্যালেঞ্জ কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে রুবেল বলেন, ‘আমরা গত ম্যাচ দারুণ খেলছি। এই ধারাবাহিতটা ধরে রাখার চেষ্টা করব। হাথুরুসিংহে প্রতিপক্ষ দলের কোচ। আমরা এতো কিছু নিয়ে ভাবতে চাই না। আমরা সামনের ম্যাচ জিততে চাই। আমরা পেস বোলারা, স্পিনারা, ব্যাটসম্যানরা সেভাবেই প্রস্তুত। আমাদের হোম কন্ডিশনে খেলা। আমি জানি আমরা কতটা বেশি কার্যকরী। আমরা আগে কিভাবে সফল হয়েছি। এই ব্যাপারটা সবাই জানে। অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার আছে তার জানে কি করতে হবে। তারা খুব সহায়তা করে। সবাইকে সাহায্য করছে। হাথুসিংহে কিংবা শ্রীলঙ্কা কোনো ফ্যাক্টর না। আমরা এসব মাথায় নিচ্ছি না।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে পঞ্চম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ১শ’ উইকেট নেন রুবেল। ভবিষ্যতে নিজের উইকেট শিকারের সংখ্যাটা কোথায় দেখতে চান রুবেল! তিনি বলেন, ‘একশটা উইকেট পেয়েছি আট নয় বছরে। এর মধ্যে এক বছর ইনজুরিতে ছিলাম। অনেক বছর লাগলো। নির্ভর করে কতগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব। তারপরও চাই ২৫০-৩০০ উইকেট পেতে। এতে ভালো লাগবে। তবে কাজটা কঠিন। কিন্তু আশা করতে দোষ কি? স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকতে তো দোষ নাই। আশা করছি দেখি কি হয়? মানুষ তো স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে থাকে। আমি না হয় স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে থাকলাম।’