স্বাগতিক দেশ, এর মধ্যে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দুর্বল দল। আফগানিস্তানকে পেয়ে ব্যাটিং কারিশমা দেখালো ইংল্যান্ড। আফগান বোলারদের তুলোধোনা করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলে নেন ৩৯৭ রান, যা চলমান টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ রান।
স্বাগতিক ইংল্যান্ডের এ রেকর্ড সৃষ্টি করা রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রানে থেমে গেছে আফগানিস্তানের ইনিংস। ফলে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫০ রানের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
এ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থান দখল করলো ইয়ান মরগানের দল। শীর্ষে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সমান ৮ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে উঠেছে ইংল্যান্ড।
তিন ম্যাচে জয় পাওয়া ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। এবারের আসরে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের রের্কড। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া অধিনায়ক মরগানের বিশ্বরেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে এ স্কোর গড়ে দলটি। ম্যাচে ১৭টি ছক্কা হাকিয়ে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছয় মারার রেকর্ড গড়েছেন অধিনায়ক মরগান।
৩৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৪৭ রান করলে ইংল্যান্ড জয় পায় ১৫০ রানে। আর এ রেকর্ড গড়া ম্যাচ জিতেই পয়েন্টের শীর্ষে উঠল দলটি। পক্ষান্তরে এ ম্যাচে হেরে টানা ৫ ম্যাচে জয় শূন্য থাকলো আফগানিস্তান।
নিশ্চিত হারের ম্যাচে নিজেদের শক্তি আর সন্মানজনক স্কোর গড়তেই মাঠে নেমেছিল আফগানিস্তান। অবশ্য সেটা করতে পেরেছে দলটি। ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারলেও অলআউট না হয়ে ৮ উইকেটে ২৪৭ রানের স্কোর গড়তে পেরেছে আফগানিস্তান। একই সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপে এই প্রথমবার নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলতে পারল উপমহাদেশের দলটি।
এর আগে এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙ্গে ইংল্যান্ড। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৮৬। আজ সেটা টপকিয়ে ৩৯৭ রানের নতুন রের্কড গড়লো ইংল্যান্ড।
অধিনায়ক ইয়ান মরগান ১৭টি ছক্কা হাকিয়ে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছয় মারার রেকর্ড গড়েছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে অবশ্য এক ইনিংসে ১৬ ছক্কার কৃতিত্ব আছেন তিন জনের।
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান করেন জেমস ভিন্স ও জনি বেয়ারস্টো। দলীয় ৪৪ রানে ভিন্স আউট হন ব্যক্তিগত ২৬ রান করে। দলীয় ৪৪ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও এরপর আর পিছনে তাকাতে হয়নি ইংল্যান্ডকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বেয়ারস্টোকে নিয়ে ১২০ রান যোগ করেন জয় রুট।
মাত্র ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক আউট হওয়ার আগে ৭১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর রের্কড ১৭ ছক্কায় করেন ১৪৮ রান। গুলবাদিন নাইব মরগানকেও ফেরান রহমত শাহ এর হাতে ক্যাচ বানিয়ে। তবে আউট হওয়ার আগেই দলকে সাড়ে তিনশত রানের উপরে নিয়ে যান এ অধিনায়ক।
মরগানের একের পর এক গ্যালারিতে উড়ে যাওয়া বিশাল সব ছক্কা থেকেই মরগান পেয়েছেন ১০২ রান। বাকি রান হিসাবে না নিলেও হয়ে যায় তার সেঞ্চুরি। ব্যাট করতে নেমে জস বাটলার ও বেন স্টোকস ভালো করতে না পারলেও মঈন আলী মাত্র ৯ বলে ১ চার আর ৪ ছক্কায় ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যায় ৩৯৭ রানের রের্কড স্কোরে। আফগানিস্তানের পক্ষে গুলবাদিন নাইব ও দৌলত জাদরান ৩টি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরা হয়েছে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ান মরগান।