বিশ্বকাপের ২৩তম আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রেকর্ড সৃষ্টি করে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরিতে ৫১ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।
নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রানের টার্গেটে ৩২২ রান করে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। আজ (সোমবার) বিশ্বকাপ আসরে ৩২২ রান রান তাড়া করে নিজেদের গড়া আগের রেকর্ড স্পর্শ করলো টাইগাররা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া ৩২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্তই শুরুে করে দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তামিম ধীর গতিতে রান সংগ্রহ করলেও সৌম্য ছিলেন চার-ছয়ের মারে।
তবে ২৩ বলে ২৯ রান করা সৌম্য আন্দ্রে রাসেলের বলে গেইলের হাতে ধরা পড়েন। তার ২৯ রানের ইনিংসে দুটি চার ও দুটি ছয়ের মার ছিল। সৌম্য আউট হলেও সাকিবকে নিয়ে ব্যাট হাতে রান তুলতে থাকেন তামিম।
ব্যক্তিগত অর্ধশত রান থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে দুর্ভাগ্য দেখা দেয় তামিমের। ব্যাট চালিয়ে রান নেওয়া ইচ্ছা পোষণ করা মাত্রই ছুড়ে মারা বলে রান আউটে কাটা পড়েন তামিম ইকবাল। তার ৪৮ রানে ৬টি চারের ছিল।
তামিম চলে যাওয়ার পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গী হন লিটন দাস। দু’জনে মিলেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুড়ে দেওয়া বিশাল লক্ষ্যকে আয়ত্তে নিয়ে ৫১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
সাকিব ৪০ বলে টানা চার নম্বর অর্ধশত রান তোলেন। শেষ পর্যন্ত ৯৯ বলে ১২৪ রানের অপরাজিত থাকেন। সাকিবের অপর প্রান্তে দারুণ সঙ্গ দেন লিটন দাস। ৬৯ বলে ৯৪ রানের অপরাজিত থাকেন তিনি।এর মধ্যে বাংলাদেশ জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাওয়ায় মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন তিনি।
বাংলাদেশ ৪১.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রানের টার্গেটে ৩২২ রান করে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
এর আগে বাংলাদেশ টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিলে ব্যাট হাতে ৫০ ওভারে ৩২১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের বিপক্ষে মোস্তাফিজুর রহমান ও সাইফুদ্দিন ৩টি করে এবং সাকিব আল হাসান ২টি উইকেট শিকার করেন।
বল হাতে ৫৪ রান দিয়ে ২ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৯৯ বলে ১২৪ রান তুলে দলের জয়ে ভূমিকা রাখায় ম্যাচসেরা হয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এ জয়ে নিজেদের ৫ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট অর্জন করলো বাংলাদেশ। এর আগে ৪ ম্যাচে একটি জয়, একটি পরিত্যক্ত ও ২টি ম্যাচে হার থাকায় টাইগারদের পয়েন্ট ছিল ৩। অন্যদিকে ৫ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ৩’ই থাকলো।