বিশ্বকাপের আসরে শেষ চারের আগে হাইভোল্টেজ ম্যাচ ছিল এটি। ম্যাচটি হাইভোল্টেজ বলা হলেও পাকিস্তান তেমনভাবে খেলতে পারেনি। উল্টো ভারতের কাছে বিশ্বকাপের মঞ্চে সপ্তমবারের মতো পরাজয় বরণ করলো পাকিস্তান।
বিশ্বকাপের ২২তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ক্রিকেট বিশ্বের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারত-পাকিস্তান। টস জিতে পাকিস্তান প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান পাকি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ব্যাট হাতে ভারতের ছুড়ে দেওয়া ৩৩৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২১২ রানে (বৃষ্টি আইনে) থেমে যায় পাকিস্তান।
ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ চলাকালে বেশ কয়েকবার বৃষ্টি হানা দেয়। এর মধ্যে দুইবার খেলা বন্ধ রাখতে হয়। তবে বৃষ্টি সবচেয়ে বেশি করে পাকিস্তানের। দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির কারণে প্রায় ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে, আর এর পলে পাকিস্তানের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান!
জবাবে নির্ধারিত ৪০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১২ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। বরণ করে ৮৯ রানের পরাজয়। অন্যদিকে চলমান বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিতই থাকলো ভারত।
এর আগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে শর্মার ১৪০ ও অধিনায়ক বিরাট কোহলির ৭৭ রানে ভর করে চির প্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান সংগ্রহ করে ভারত।
ওপেনার রোহিত শর্মা যখন তিন অংকের ঘরে পৌঁছান তখন ভারতের দলীয় সংগ্রহ ছিল এক উইকেটে ১৭২ রান। কেএল রাহুলের (৫৭) সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ১৩৭ রান যোগ করেন রোহিত।
বৃদ্ধাঙ্গুলের ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে খেলতে পারেননি ভারতের নিয়মিত ওপেনার শিখর ধাওয়ান। ফলে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ম্যাচে জুটি বাঁধেন এ দুই ব্যাটসম্যান।
শোয়েব মালিকের বলে ছয় হাকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাহুল। মোহাম্মদ হাফিজের বলে মারেন আরও একটি ছক্কা। এরপর ওয়াহাব রিয়াজের বলে মিড অফে ধরা পড়েন রাহুল।
অন্যদিকে ৮৫ বলে ২৪তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রোহিত শর্মা। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তার ২৪তম সেঞ্চুরি। হাসান আলীর বলে ওয়াহাব রিয়াজের হাতে ধরা পড়ার আগে ১১৩ বলে ১৪০ রান সংগ্রহ করেন রোহিত। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৩৬ রান।
পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির ৪৭ রানে তিন উইকেট শিকার করেন।
৩৩৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি পাকিস্তান। ১৮ বল মোকাবেলা করে ব্যক্তিগত ৭ রানে আউট হন ওপেনার ইমাম-ইল-হক। তবে অধিথনায়ক সরফরাজ ব্যাট হাতে খেলতে থাকেন।
অধিনায়ক সরফরাজ ৭৫ বলে ৬২, বাবর আজম ৫৭ বলে ৪৮ এবং ইমাদ ওয়াসিম ৩৯ বলে ৪৬ রান করলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত ছাড়াও তৃতীয় প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে দুইবার খেলা বন্ধ হলেও দ্বিতীয়বার প্রায় ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। তখন টার্গেট সামনে নিয়ে ব্যাট করছিল পাকিস্তান। এর ফলে বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানের সামনে ৪০ ওভারে ৩০২ রানের টার্গেট দাঁড়ায়।
শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির আইনে ৪০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২১২ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। অর্থাৎ হাইভোল্টেজ এ ম্যাচে ভারতের কাছে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় পাকিস্তান।
ম্যাচসেরা হয়েছেন ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করা ভারতের রোহিত শর্মা।