ওয়াকার ইউনিসের মতে বিশ্বকাপে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারাতে পাকিস্তান দলকে ‘এ প্লাস’ পারফরমেন্স করতে হবে। দ্বাদশ বিশ্বকাপের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে রোববার ম্যানচেস্টারে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। গত বুধবার টনটনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪১ রানে পরাজিত হওয়ায় দশ দলের টুর্নামেন্টে অষ্টম স্থানে নামিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানকে।
যদিও গ্রুপ পর্বে তাদের এখনো অর্ধেকের বেশি ম্যাচ বাকি আছে। তবে শীর্ষ চার-এ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে আর কোন পরাজয় হজম করতে পারবেনা সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান।
আইসিসির এক কলামে পাকিস্তান ফাস্ট বোলিং গ্রেট ওয়াকার লিখেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তান সব সময়ই বড় ম্যাচ। তবে তাদের আগামী রোববারের ম্যাচটি হবে এ যাবতকালের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্নের চেয়েও বেশি কিছু।’
‘পাকিস্তান যদি টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে চায় তবে তাদেরকে একটি ‘এ প্লাস’ মানের পারফরমেন্স করতে হবে এবং ম্যাচটি জিততে হবে।’
‘উভয় দেশের কাছে সব সময়ই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানে অনেক বড় কিছু। কোটি কোটি মানুষ ম্যাচটি দেখবে।’
ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইতিহাস পাকিস্তানের বিপক্ষেই থাকবে। উপমহাদেশের দল দুটি বিশ্বকাপে এর আগে ছয় বার মুখোমুখি হয়েছে এবং ছয় বারই পাকিস্তান হেরেছে।
তাছাড়া দুর্দান্ত ফর্মেও আছে ভারত। বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি গ্রুপ পর্বে আগের দুই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া উভয় দলকেই পরাজিত করেছে। তারপর গতকাল নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে।
ওয়াকার বলেন, ‘পাকিস্তানের রেকর্ড খুব মিশ্র। তবে সবই এখন অতীত। সেসব ইতিহাস। এটা একটা নতুন ম্যাচ, একটা নতুন দিন।
তবে ওয়াকার বলেন, "দুই বছর আগে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে পাকিস্তান।" ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দিদের বিপক্ষে হারার পরও ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান।
বাঁ-হাতি পেসার মোহাম্মদ আমিরের ক্যারিয়ার সেরা ৩০ রানে ৫ উইকেট শিকারের সুবাদে গত বুধবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানে আটকে দিয়েছিল পাকিস্তান।
আরেক পেস গ্রেট ওয়াসিম আকরামের সাথে নতুন বলে জুটি বাধা ওয়াকার বলেন "আমিরকে আরো ব্যাকআপ দিতে হবে।"
পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ও কোচের দায়িত্ব পালন করা ওয়াকার বলেন, ‘আমির অন্য প্রান্ত থেকে (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) কোন সহায়তা পায়নি। সত্যিকারভাবে তার সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। আমিরের কাছে আপনাকে মাথা নত করতেই হবে। যেভাবে সে বোলিং করেছে তাতে তাকে পুরো মার্ক দিতে হবে।
‘আমি মনে করি এমনকি নতুন বলে সে খুব সুন্দর বোলিং করেছে। শেষ পর্যন্ত সে হয়তোবা পাঁচ উইকেটের বেশি পেতে পারত। প্রথম দিকে দুইটি ক্যাচ মিস হওয়া তার দুর্ভাগ্য।"
ওয়াকার আরো বলেন, ‘আমির অসাধারন বোলিং করেছে। সে তার সব অস্ত্র কাটার, ভেরিয়েশনস এবং শট পিচ ডেলিভারি সবই দেখিয়েছে।’
২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারীর কারণে পাঁচ বছর নিষেধাজ্ঞা ও জেল খাটার কারণে এক সময় মনে হয়েছিল আমিরের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।
ওয়াকার বলেন, ‘আমার মনে হয় সবাই জানে আমির মানসিকভাবে খুবই শক্ত। সে আবারো প্রমান করেছে মানটা স্থায়ী-সে একজন ম্যাচ জয়ী খেলোয়াড় তাতে কোন সন্দেহ নেই।’