বিশ্বকাপে বল হাতে নিজেকে তেমনভাবে মেলে ধরতে পারছেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট পেয়েছেন, ব্যাট হাতে তেমন রানও পাননি তিনি। মাশরাফির ফর্ম নিয়ে অনেকে ভিন্ন কথাও বলছেন। তবে নিজের পারফরমেন্স নিয়ে হতাশ নন। জানালেন, ভালো করতে না পারায় নিজের কাছে খারাপ ঠিকই লাগছে।
বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামার আগের দিন সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘হতাশ একেবারেই না। আপনি যখন পেশাদার জীবনে থাকবেন, যখন সেরাটা দিতে পারবেন না আপনাকে এ ধরনের প্রশ্ন করা হবে। এটা খুবই স্বাভাবিক। এটা মেনেও নিতে হবে। আমার কাছে মনে হয় প্রথম দুই ম্যাচে উইকেটের যে অবস্থা ছিল, বেশির ভাগ পেসারদের ইকোনমি ছয়-সাড়ে ছয় করে ছিল। আমাদের স্পিনাররা ভালো রোল প্লে করছে বা তাদের বেশি বল করতে হচ্ছে। গত ম্যাচে দরকার ছিল। আমি ১০ ওভার করেছি। হয়ত ৮/৯ ওভার পর্যন্ত আমার সবই ঠিক চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘খারাপ সময় ভালো সময়ের পার্থক্য একেকজন একেকভাবে এক্সপ্রেস করে। আল্টিমেটলি আমার কাছ থেকে আমি নিজেও আরও বেশি প্রত্যাশা করি। ম্যাচ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। সেটি না হলে নিজেই নিজের কাছে প্রশ্ন করি। মানুষ কে কী বলল, সেটার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমি নিজে কী অনুভব করছি। সেরাটা না দিতে পারলে মানুষের চেয়ে নিজেরই বেশি খারাপ লাগে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় দিয়ে দ্বাদশ বিশ্বকাপ শুরু হলেও নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। তাই দলের একাদশ নিয়ে সমালোচনা সর্বত্র। তবে কি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাদশে পরিবর্তন আসবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘একাদশে বদল তো আমি বললেই হবে না, টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার আছে। আর একাদশে বদল সব সময় ভালো কিছু হয় না। যখন দরকার হয় তখন। দলের যদি দরকার হয় অবশ্যই আলোচনা করে ঠিক করা হবে।’
হারলেই দল নিয়ে, খেলোয়াড় নিয়ে সমালোচনা ওঠে। তবে এ সমালোচনা যেন দলের মধ্যে বা ড্রেসিং রুমে না পৌঁছায় সেদিকে সর্তক মাশরাফি। বলেন, ‘আমি সব কিছু সত্যিকার অর্থে ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা করছি। আমার কাছে মনে হয় সবাই মানসিকভাবে ঠিক আছে। শুধু বাইরের আলোচনাগুলো… হয়তবা সবাই এক রকম না। বাইরের আলোচনা যেন ড্রেসিং রুমে না যায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তো সবাই আবেগী অনেক। রাতারাতি সব কিছু চাওয়া পাওয়া জানাতে পছন্দ করি। এটা খেলোয়াড়দের ভেতরও আছে। প্রত্যেক ম্যাচেই ভালো করতে হবে।’
মাশরাফি আরও বলেন, ‘রিয়াদ যেভাবে ব্যাট করে সব ম্যাচেই এভাবে করতে হবে। তামিমও কিন্তু এ প্রত্যাশা নিয়েই যায়। তাই সমালোচনাটা যেন ড্রেসিং রুমে না যায়। দিন শেষে চাপ পড়ে। কাজেই এসব থেকে ওরা যত দূরে থাকতে পারবে আরও বেশি দিতে পারবে। প্রথম ম্যাচে রিয়াদের রোল যেটা ছিল সেটা পূরণ করেছে। গত ম্যাচে কেন পারেনি, ওর সঙ্গে কথা বললে বোঝা যাবে। দ্বিতীয় ম্যাচে সে ঠিক পথেই ছিল। যখন ভালো খেলা দরকার ছিল তখনই আউট হয়ে গেছে। একইভাবে মিঠুনের কথাও বলব।’