সেঞ্চুরি করলেন টাইগার পেসার রুবেল হোসেন। অবাগ হচ্ছেন? হওয়ারই কথা! সত্যিই রুবেল হোসেন সেঞ্চুরি করেছেন, তবে তা ব্যাট হাতে নয় সেঞ্চুরি করেছেন বল হাতে প্রতিপক্ষের উইকেট শিকারে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের টেন্ডাই চাতারা উইকেটটি তুলে নিয়ে নিজের নামের পাশে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ডে নাম লেখান রুবেল।
বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নিলেন ডান-হাতি পেসার রুবেল হোসেন। ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের সোমবার প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৪ রানে ২ উইকেট শিকারে রুবেলের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যান গিয়ে দাঁড়ায় ৮১ ম্যাচে ১০০ উইকেট।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে ৮০ ম্যাচে ৯৮ উইকেট শিকার ছিল রুবেলের। ২০০৯ সালে ঢাকার মিরপুরে শ্রীলঙ্ককার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় রুবেলের। একই বছর টেস্ট ও টুয়েন্টি টুয়েন্টি অভিষেক ঘটে তার। এখন পর্যন্ত ২৫ টেস্টে ৩৩ ও ১৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৫ উইকেট শিকার করলেও ওয়ানডেতে ১০০ ব্যাটসম্যানকে শিকার করে ফেলেছেন রুবেল।
রুবেলের আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে একশ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, দুই বাঁ-হাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ও মোহাম্মদ রফিক।
জিম্বাবুয়ে ইনিংসের ৪৮তম ওভারে ও নিজের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পিটার মুর ও তেন্ডাই চাতারাকে পরপর দু’বলে বোল্ড করেন রুবেল। অবশ্য প্রথম চার ওভারে ২২ রান দিয়েছিলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষে রুবেলের বোলিং ফিগার ছিল ৫ ওভারে ২৪ রানে ২ উইকেট।
রুবেল ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভালো পার্রফরমেসের জন্য প্রশংসিত হন৷ বিশ্বকাপে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি।
খুলনা বাগেরহাটের এ ডানহাতি ফাস্ট বোলার ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপেক্ষে খেলায় তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে হ্যাট্রিক করেন। একে-একে নিউজিল্যান্ডের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান কোরে অ্যান্ডারসন, ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম এবং জিমি নিশামকে আউট করে এ বিরল কীর্তিগাঁথা রচনা করেন।