বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সঙ্গে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স বেশ নড়বড়ে। ক্রিকেটের গেল দুই সর্বোচ্চ আসরেই টাইগারদের কাছে হেরেছে ইংলিশরা। এবার বাংলাদেশকে নিয়ে বেশ সতর্ক তারা। জিততে পেসারদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে স্বাগতিকরা।
বিশ্বকাপের মঞ্চে এখন পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড। দুইবার জিতেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা, একবার আকাশি-নীলরা। ঘরের মাঠে ভালো করতে তাই মরিয়া মরগান-রুটরা।
বিশ্বকাপে দ্বাদশ আসরে শুরুটা দারুণ করে ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে শুভ সূচনা করে স্বাগতিকরা। তবে পাকিস্তানের কাছে হেরে কিছুটা পিছিয়ে পড়ে ইংলিশরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে শনিবার খেলতে নামবে ইংল্যান্ড। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে দুই দলের খেলা গড়াবে বিকাল সাড়ে ৩টায়। ইতিমধ্যে রণকৌশল সাজাতে শুরু করেছে ইংলিশরা। তুলনামূলক পেসে দুর্বল টাইগাররা। সেই কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা আঁটছেন তারা। নিয়মিত চার পেসারের সঙ্গে যোগ হতে পারেন বাড়তি আরেকজন ফাস্ট বোলার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ পেসার খেলানোর জোরালো সম্ভবনা আছে ইংলিশদের। দলের সঙ্গে যোগ হতে পারেন পেসার লিয়াম প্লাংকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল। শর্ট বল খেলতে না পারা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে লাইন লেন্থ ধরে বল করা পেসারকে খেলাতে চাননি কোচ-অধিনায়ক।
তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিরতে পারেন প্লাংকেট। তাকে একাদশে জায়গা দিতে বাদ পড়তে পারেন আদিল রশিদ। গেল ম্যাচে খরুচে বোলার ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৫ ওভারে ৪৩ রান দেন এ স্পিনার।
বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের পেস খেলতে বেশ অসুবিধা হয়, তা নতুন কিছু নয়। মাশরাফি-সাকিবদের বিপক্ষে পেসারদের ঘিরেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা শেষ দুই বিশ্বকাপে ইংলিশদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়। এছাড়া সবশেষ ৮ ম্যাচে সমান ৪টি করে জয়-পরাজয়।