২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু মিরপুর শেরে-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। অনেক জয়-পরাজয়ে স্মতিমন্ডিত এ স্টেডিয়ানটি পার করেছে ১১ বছর। এবার সেই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল দিয়ে আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করছে এ স্টেডিয়ামটি। আগামী ১৭ জানুয়ারি ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কা বনাম জিম্বাবুয়ের ম্যাচের মাধ্যমে ১০০তম ওয়ানডে আয়োজন করতে যাচ্ছে শেরে-বাংলা।
বিশ্বের ষষ্ঠ ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে ১০০তম ওয়ানডে আয়োজন করতে মিরপুরের সময় লাগলো ১১ বছর। যা অন্যগুলোর থেকে সবচেয়ে কম সময়ের রেকর্ড। তবে এমন একটি দিবসে কোন উদযাপন করবে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
স্টেডিয়ামটিতে স্বাগতিক বাংলাদেশ গর্ব করার মতো বেশ কয়েকটি পারফরম্যান্স করেছে। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০তে সিরিজ জয়, ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনাল। ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বিশ্বসেরা দলের বিপক্ষেও রয়েছে সিরিজ জয়ের রেকর্ড। এছাড়া ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে টেস্টও জিতেছে স্বাগতিকরা।
সবচেয়ে বেশি ২৩১টি ম্যাচ আয়োজন করে সবার উপরে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ১৯৮৪ সাল থেকে যার যাত্রা শুরু। ১৯৭৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫৪টি ম্যাচ আয়োজন করে তালিকার দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড।
এ তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আরেক নাম করা স্টেডিয়াম মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। এ মাঠেই ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। ১৯৭১ সাল থেকে এমসিজি নামের স্টেডিয়ামটি এখন পর্যন্ত ১৪৭ ম্যাচ আয়োজন করেছে।
ঢাকার মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে বর্তমান ম্যাচ সংখ্যা ৯৮। সোমবার (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের ওয়ানডের মধ্যদিয়ে ৯৯তম ম্যাচ আয়োজন করবে শেরে-বাংলা। এরপর ১৭ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কা বনাম জিম্বাবুয়ের ম্যাচের মাধ্যমে ওয়ানডে ম্যাচের সেঞ্চুরি করবে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের অন্যতম ভেন্যু হিসেবে পরিচিত শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
শেরে-বাংলায় প্রথম টেস্ট ম্যাচ গড়ায় ২০০৭ সালের ২৫ মে। বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের যৌথভাবে আয়োজিত ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে এ স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের ৪টি এবং কোয়ার্টার ফাইনালের ২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।