২০০৭ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চার বলে চার উইকেট শিকার করা শ্রীলঙ্কান পেস তারকা লাসিথ মালিঙ্গা এবারের আসরেও হ্যাটট্রিক করতে চান।
হ্যাটট্রিকসহ মালিঙ্গার চার উইকেট দখলে ২০০৭ সালের ঐ ম্যাচটিতে অবশ্য শ্রীলঙ্কার পরাজয় এড়াতে পারেনি। সবকটি উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার করা ২০৯ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে ২১২ রান সংগ্রহ করেছিল।
মালিঙ্গা ৪৪তম ওভারের শেষ দুটি বলে ও ৪৬তম ওভারের প্রথম দুই বলে পরপর ৪ উইকেট তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের কিছুটা হলেও বিপদে ফেলেছিলেন। কিন্তু এরপরেও শ্রীলঙ্কা হার এড়াতে পারেনি।
মালিঙ্গার বরাত দিয়ে আইসিসি জানিয়েছে, ‘কেন আমি আরও একটি হ্যাটট্রিক করতে পারবো না? আমি চেষ্টা চালিয়ে যাব। বিশ্বকাপের মঞ্চে এই ধরনের অর্জন সত্যিই বিশেষ কিছু।’
ওয়ানডেতে উইকেট দখলের তালিকায় সতীর্থ সনাত জয়সুরিয়াকে টপকে যেতে আর একটি মাত্র উইকেট প্রয়োজন মালিঙ্গার। একই সাথে এর মাধ্যমে তিনি শীর্ষ দশ উইকেট শিকারীর তালিকায়ও জায়গা করে নিতে পারবেন তিনি।
২১৮ ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত মালিঙ্গার সংগ্রহ ৩২২ উইকেট। ইংলিশ কন্ডিশনে সবসময়ই খেলতে পছন্দ করেন মালিঙ্গা। বলেন, ‘ইংল্যান্ডের একটি বিষয় আমি মেনে চলার চেষ্টা করি, তা হলো এখানকার কন্ডিশন। এখানে হয় বেশ গরম পড়ে নতুবা প্রচন্ড ঠান্ডা। একজন বোলারের দক্ষতা যাচাইয়ে সত্যিকারের পরীক্ষা দিতে হয়।’
ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মালিঙ্গা। ১৬ উইকেট দখল করে তিনি মুম্বাইকে রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা দখলে সহযোগিতা করেছেন। ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে তার পারফরমেন্স ডেথ বোলিংয়ে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলারের তকমাটাও এনে দিয়েছে।
মালিঙ্গা বলেন, ‘উইকেট পাওয়া সব সময়ই আনন্দের, বিশেষ করে আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলোতে বোলিংয়ের মাধ্যমে দলকে সফলতা পেলে তা ক্যারিয়ারে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। এর ফলে আত্মবিশ্বাসও অনেকাংশেই বেড়ে যায়। কিন্তু ইংল্যান্ডের কন্ডিশন ও ফরমেট সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি জানি এখানেও ভালো করার আত্মবিশ্বাস আমার আছে।’
শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মালিঙ্গা বলেন, তারকাদের অনুপস্থিতিতে তরুণরা আসন্ন বিশ্বকাপে নিজেদের প্রমাণের জন্য মুখিয়ে আছে। তিনি বলেন, আগের বছরগুলোতে লঙ্কান দলে বড় বড় তারকারা থাকলেও এবারের দলটি অপেক্ষাকৃত তরুণ। এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার সেরা ১৫ জন খেলোয়াড় নিয়েই আমরা এখানে খেলতে এসেছি। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সংমিশ্রনে এবার ভালো কিছু করারই আশা করছি।