বিশ্বকাপের মূল পর্বের আগে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেললো বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে হার দিয়ে নিজেদের প্রস্তুতি শেষ করলো বাংলাদেশ।
নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৯৫ রানের ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ৩৬০ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে লিটন-মুশফিকের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়লেও শেষ পর্যন্ত ২৬৪ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
সোমবার (২৮ মে) ভারতের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ব্যাট করে কেএল রাহুল ও এমএস ধোনির জোড়া সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৫৯ রান সংগ্রহ করে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ১ রানে থাকা শিখর ধাওয়ানকে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। তারপরও বেশ ভালোভাবেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে বাংলাদেশি বোলাররা। ১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৩৪ রান।
দলীয় ৫০ ও ব্যক্তিগত ১৯ রানে রোহিত শর্মা শিকার হন পেসার রুবেল হোসেনের। তিন নম্বরে নামা ভারতীয় অধিনায়ক ৪৬ রানে শিকার হন সাইফ উদ্দিনের। তবে এরপরেই বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ে ছেলে-খেলা করেন রাহুল ও ধোনি।
৯৯ বলে ১২টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারিতে ১০৮ রান করে অকেশনাল বোলার সাব্বির রহমানের শিকার হন রাহুল। এছাড়া ইনিংস শেষ হওয়ার চার বল বাকি থাকতে সাকিবের শিকার হওয়া ধোনি করেন ১১৩ রান। অধিনায়ক কোহলি সর্বোচ্চ তৃতীয় ৪৭ রান সংগ্রহ করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন ও সাকিব আল হাসান। এছাড়া মোস্তাফিজ, সাইফ উদ্দিন ও সাব্বির রহমান একটি করে উইকেট নেন।
৩৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। সৌম্য ২৯ বলে ২৫ রান ফিরে গেলেন ব্যাটিং করতে থাকেন লিটন। চাহালের বলে ধোনির স্ট্যাম্পিং হওয়াার আগে ৯০ বলে ৭৩ রান করেন লিটন দাস।
লিটন ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে রান পান মুশফিকুর রহিম। তিনি সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১০ রান থাকাকালিন আউট হয় তিনি। ৯৪ বলে মুশফিকের ৯০ রানে ৮টি চার ও ২টি ছক্কার ছিল।
লিটন-মুশফিক ছাড়া ব্যাট হাতে আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। শেষ দিকে মেহেদী মিরাজ ৩০ বলে ২৭ রান করলেও সেটি জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন এক বল করে মোকাবেলা করে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৩ বল বাকি (৪৯.৩) থাকতেই ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্রা চাহাল ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া জসপ্রিত বুমরাহ ২টি এবং রবীন্দ্র জাদেজা একটি উইকেট নেন।