বিশ্বকাপের সকল হিসেব নিকেশ যেকোন সময় আফগানিস্তান পাল্টে দিতে পারে, সেটা আগে থেকেই আচঁ করা যাচ্ছিলো। সকলের সেই ধারণাই বোধহয় বাস্তবায়নের পথে আফগানরা। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সেটা প্রমাণও করে দিল নবী-রশিদরা।
পাকিস্তানের দেওয়া ২৬৩ রানের লক্ষ্যটা খুব একটা কঠিন ছিল না আফগানিস্তানের। শুরুটাও ভালোই করে আফগানিস্তানের দুই ওপেনার শাহজাদ ও জাজাই। তবে চোটের কারণে ব্যক্তিগত ২৩ রান করে মাঠ ছাড়েন শাহজাদ।
শাহজাদ বিশ্রামে যাওয়ার পর রাহমাত শাহকে সাথে নিয়ে পাক বোলারদের শাসন করতে থাকেন জাজাই। ব্যাক্তিগত অর্ধশতকের দিকেই এগোচ্ছিলেন জাজাই। তবে শাদাব খান বলে ক্যাচ দিয়ে ৪৯ রান করে সাজঘরে ফিরেন জাজাই।
জাজাই আাউট হলে হাসমত উল্লাহ শাহিদীকে সাথে নিয়ে জুটি গড়েন রহমত। তবে এই জুটিটা বেশি দূর এগোয় নি। ৩৯ রানের জুটি টি ভেঙে দেন ওয়াহাব রিয়াজ। ৩২ রান করে সাজঘরে ফিরেন রহমত শাহ।
দেয়ালের মতো এক পাশ আগলে রেখে ব্যাটিং চালিয়ে যান হাসমতউল্লাহ। তবে আফগানিস্তানের অপর প্রান্ত ছিল আসা যাওয়ার মধ্যেই। হাসমতউল্লাহর সাথে সতীর্থ কোন ব্যাটসম্যান সঙ্গ দিতে পারেন নি। ফলে জেতা খেলাও আফগানিস্তানে হাত ছাড়া হয়ে যাওয়া পথে চলে যায়।
কিন্ত শেষ পর্যন্ত হাসমতউল্লাহ ও রশিদ খানের দুর্দান্ত জুটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের দেখা পায় আফগানিস্তান।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। বাবর আজম ১০৮ বলে ১১২ এবং শোয়েব মালিক ৫৯ বলে ৪৪ রান করেন। তবে আফগানিস্তানের বোলিং তোপের কারণে বাকী ব্যাটসম্যানরা এ দিন সুবিধা করতে পারেননি। পাকিস্তানের মিডল ও লোয়ার ওর্ডার ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। ফলে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান তোলে।