ওয়ানডে ম্যাচ খেলার কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও তাকে নেয়া হয় বিশ্বকাপে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তর সমালোচনাও হয়েছে। অভিষেক ম্যাচেও ভালো করতে পারেননি। তবে অভিষেকের দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেকে চেনালেন টাইগার পেসার আবু জায়েদ রাহী।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ষষ্ঠ ম্যাচে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভার বল করে ৫৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৫টি উইকেট। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে এভাবে জ্বলে ওঠায় বিশ্বকাপে তার হাত ধরে ভালো কিছুই আশা করছে বাংলাদেশ।
ডান-হাতি পেসার আবু জায়েদ রাহীর দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড রানের পাহাড় দাঁড় করেছে। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯২ রান করেছে তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৯ ওভার বল করে ৫৬ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন রাহী। আজও নিজের ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত উইকেট শূন্যই ছিলেন তিনি। তবে ২০ বলে ২০ রান করা অ্যান্ডি ব্যালবির্নিকে আউট করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শিকারে পরিণত করেন বাংলাদেশের পেসার আবু জায়েদ।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শিকারে সেঞ্চুরির পথে হাটা আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডকে ৯৪ রানে থামিয়ে দেন জায়েদ। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৬ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান পোর্টারফিল্ড।
তৃতীয় শিকারে ১২৭ বলে সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া স্ট্রার্লিংকে থামিয়ে দেন জায়েদ। ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৪১ বলে ১৩০ রান করেন ১০৯টি ওয়ানডে খেলা স্ট্রার্লিং।
হঠাৎ ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জায়েদ ব্যালবির্নি-স্ট্রার্লিং-পোর্টারফিল্ডকে শিকারের পর পরবর্তীতে আয়ারল্যান্ডের আরও দু’ব্যাটসম্যানকে আউট করেন।
ক্যারিয়ারের নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই পাঁচ উইকেট শিকার করেন জায়েদ। তার দুর্দান্ত বোলিং নৈপূণ্যে তিনশ’ সম্ভাবনা জাগিয়েও ৮ উইকেটে ২৯২ রানে থেমে যায় আয়ারল্যান্ড।
৯ ওভারে ৫৮ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন জায়েদ। জায়েদ ছাড়াও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২টি ও রুবেল ১টি উইকেট নেন।