ত্রিদেশীয় সিরিজের স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের এটাই শেষ ম্যাচ। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করার এ ম্যাচটি শুধু নিয়ম রক্ষার।
নিজের শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বালে ওঠলো আয়ারল্যান্ড। ব্যাট হাতে টাইগার বোলারদের রীতিমত শাসন করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রান সংগ্রহ করেছে।
আইরিশদের বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন ওপেনার পল স্ট্রার্লিং। তিনি খেলেছেন ১৪১ বলে ১৩০ রানের দর্শনীয় ইনিংস। পল স্ট্রার্লিং ছাড়াও উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ১০৬ বলে ৯৪ রান সংগ্রহ করেন।
বুধবার (১৫ মে) ডাবলিনের ক্যাসেল এভিনিউতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। দলীয় ২৩ রানে ওপেনার জেমস ম্যাককোলামকে হারায় আইরিশরা। ৫ রানে ম্যাককোলামকে বিদায় দেন বাংলাদেশের সোর রুবেল হোসেন।
শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করে বেশি দূর যেতে পারেননি আরেক ওপেনার পল স্ট্রার্লিং ও তিন নম্বরে নামা এন্ডি ব্যালবির্নি। ৩৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ২০ বলে ২০ রান করা ব্যালবির্নিকে নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথম শিকারে পরিণত করেন বাংলাদেশের পেসার আবু জায়েদ।
৫৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড। তৃতীয় উইকেটে বড় জুটির লক্ষ্যে বাংলাদেশ বোলারদের দেখেশোনে খেলতে থাকেন স্ট্রার্লিং ও অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। তাতে আয়ারল্যান্ডের স্কোরবোর্ড শক্তপোক্ত হতে থাকে। শক্ত জুটিতে দলের স্কোর শতরান, ২শও পার করিয়ে ফেলেন তারা। এরমধ্যে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন স্ট্রার্লিং। ২০১৮ সালের মার্চের পর সেঞ্চুরির দেখা পান স্ট্রার্লিং।
সেঞ্চুরির পথে হাটতে থাকেন পোর্টারফিল্ড। কিন্তু পোর্টারফিল্ডকে ৯৪ রানে থামিয়ে দেন জায়েদ। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৬ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান পোর্টারফিল্ড।
১২৭ বলে সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া স্ট্রার্লিংকে থামিয়ে দেন জায়েদ। ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৪১ বলে ১৩০ রান করেন ১০৯টি ওয়ানডে খেলা স্ট্রার্লিং।
ব্যালবির্নি-স্ট্রার্লিং-পোর্টারফিল্ডকে শিকারের পর পরবর্তীতে আয়ারল্যান্ডের আরও দু’ব্যাটসম্যানকে আউট করেন জায়েদ। ফলে ওয়ানডেতে নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই পাঁচ উইকেট শিকার করেন জায়েদ। তার দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে তিনশ’ সম্ভাবনা জাগিয়েও ৮ উইকেটে ২৯২ রানের বেশি করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড।
৯ ওভারে ৫৮ রানে ৫ উইকেট নেন জায়েদ। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২টি ও রুবেল ১টি উইকেট নেন।