আয়ারল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ দিয়ে কাল শুরু হচ্ছে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ। টুর্নামেন্টের আরেক দল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামী ৭ মে মাঠে নামবে টাইগাররা।
তবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে জয় চায় আয়ারল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ উভয় দলই। ডাবলিনের ক্যাসল অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে শুরু হবে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটি।
ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গতরাতে ওয়ানডে খেলেছে আয়ারল্যান্ড।
এক ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজে হার মানে আইরিশরা। তবে যাচ্ছেতাই ভাবে বিশ্বের এক নম্বর দলের কাছে হারেনি আয়ারল্যান্ড। লড়াই করেছে স্বাগতিকরা, তাতে ইংল্যান্ড শিবিরকে হারের ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলো তারা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা ও ভাগ্যের কাছে হার মানে র্যাংকিং-এর ১২তম দল আয়ারল্যান্ড। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা উইকেটরক্ষক বেন ফোকস ও বোলার টম কারানের সপ্তম উইকেটে ৯৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে স্বস্তির জয় পায় বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দল ইংল্যান্ড।
এমন হারে হতাশ হলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচটি ত্রিদেশীয় সিরিজে অনেক বেশি কাজে দিবে বলে মনে করেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।
এই ম্যাচ থেকে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন বলে জানান তিনি, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। অল্প পুঁিজ নিয়েও বোলাররা যেভাবে লড়াই করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারলাম। আমাদের ভুলগুলো বুঝতে পারলাম। এ ম্যাচের অভিজ্ঞতা কাল থেকে শুরু হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে কাজে লাগবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ খুই ভালো দল। তাদের সাথে সহজে জয় পাওয়া যাবে না। তিন বিভাগেই আমাদের ভালো করতে হবে। তবে জয় দিয়ে আসর শুরু করতে পারলে দারুন হবে।’
ত্রিদেশীয় সিরিজকে সামনে রেখে ডাবলিনের প্রেমবার্ক ক্রিকেট ক্লাব মাঠে অনুশীলন করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। নেটে বোলারদের নিয়ে বেশি সময় ঘাম ঝড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এই টুর্নামেন্ট দিয়ে নিজেদের গুছিয়ে নিতে চাইছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এমনটাই বললেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন পরই শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের মত বড় ইভেন্ট। ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর। ঐ আসরে ভালো করতে চায় সব দলই। আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। এই সিরিজ দিয়ে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়া যাবে। এই সিরিজটি আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে ৪/৫টি ম্যাচ খেলতে পারবো আমরা। এই ম্যাচগুলো দিয়েই বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের ভালোভাবে গুছিয়ে নিতে হবে আমাদের। এখান থেকেই ভালো ক্রিকেট খেলে আমরা বিশ্বকাপের মঞ্চে পা রাখতে চাই ।’