বার্ষিক র্যাংকিং শেষে ওয়ানডের শীর্ষ দল এখন ইংল্যান্ড। আর তাদের মাটিতেই এবার হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেই দলটাকে প্রায় হারের লজ্জায় ডোবাতে চেয়েছিলো আয়ারল্যান্ড! দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে তা আর হতে দেননি অভিষিক্ত বেন ফোকস। একমাত্র ওয়ানডেতে কষ্ট করে ইংল্যান্ড জিতেছে ৪ উইকেটে।
ডাবলিনে বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে এই ম্যাচ। ইংল্যান্ড তিনজনকে অভিষেক করায় আজ। ক্যারিবীয় জোফরা আর্চারও পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত সুযোগ। তার সঙ্গে ডেভিড মালান ও বেন ফোকস। আয়ারল্যান্ডেরও অভিষেক হয়েছে তিনজনের। সেই অভিষিক্তরাই ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে দারুণ পারফরম্যান্সে চোখ রাঙানি দিয়ে রাখলো বাকিদের।
ভেজা আউট ফিল্ড থাকায় ম্যাচ শুরু হয় ২ ঘণ্টা দেরিতে। তাতে পরিধি কমে দাঁড়ায় ৪৫ ওভারে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আইরিশদের সূচনাটা উড়ন্তই ছিলো। বিনা উইকেটে ৫৫ রান তোলা দলটি বিপদে পড়ে কারানের আঘাতে। স্টারলিংকে ফেরালে আইরিশরা ধীরে ধীরে গুটিয়ে যাওয়ার দিকেই মন দেয় তাদের বোলিংযে টিকতে না পেরে। ৭৭ রানে পতন হয় ৪ উইকেটের!
সর্বোচ্চ স্কোর বলতে স্টারলিংয়ের ৩৩। লোয়ার অর্ডারে আরেক অভিষিক্ত অ্যাডেয়ার ৩২ রানে জ্বলে উঠার চেষ্টা করলে তার উইকেটটিই নেন আরেক অভিষিক্ত আর্চার। লিয়াম প্লাঙ্কেটের ৪ ও কারানের ৩ উইকেট শিকারে ৪৩.১ ওভারে অবশেষে ১৯৮ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশরা।
জবাবে ইংল্যান্ডেরও ঘাম ছুটিয়েছে আইরিশ বোলাররা। অভিষিক্ত লিটল ত্রাস ছড়িয়েছেন বেশি। নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাতে প্রায় খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিলো ইংল্যান্ড। একটা সময় তাদের স্কোর ছিলো ৬ উইকেটে ১০১!
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন আরেক অভিষিক্ত বেন ফোকস। তার অপরাজিত ৬১ ও টম কারানের দৃঢ়চেতা ৪৭ রানই লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছে ইংল্যান্ডকে। ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতে নেয় ৪২ ওভারে। ম্যাচসেরা বেন ফোকস।