আইসিসি বিশ্বকাপে এবারের আসরে খেলছে না জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সে দেশ থেকে অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট নামে এক জন বিশ্বকাপে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু নেই বাংলাদশের কোন আম্পায়ার। কিন্তু বাংলাদেশের কেউ, কেন নেই সে বিষয়ে জানে না বিসিবি।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশি আম্পায়ার না থাকার কারণ বিসিবির অজানা থাকলেও, উন্নত মানের আম্পায়ার তৈরি করার উপর জোড় দিচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিশ্বকাপের জার্সি সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জালাল ইউনুস বলেন, ‘ আমরা কিন্তু অনেক দিন ধরেই আম্পায়ার পাচ্ছি না। এনামুল মনি কিংবা সৈকত তারা বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে দায়িত্ব পালন না করলেও, আন্ডার-১৯ বিশ্বকাপে কিন্তু দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু অনেক দিন ধরে তাদের মতো আম্পায়র আমরা পাচ্ছি না।’
৩০ মে পর্দা উঠছে ওয়ানডে ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপের। শুক্রবার ম্যাচ পরিচালনার জন্য ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি নির্বাচন করেছে ১৬ জন আম্পায়ারকে। তাদের পাশাপাশি থাকবেন ৬ জন ম্যাচ রেফারি। আম্পায়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ জন ইংল্যান্ডের।
অস্ট্রেলিয়ার আছেন ৪ জন। এছাড়া একজন করে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দুজন শ্রীলঙ্কান, এক জন শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার রাখা হয়েছে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশি আম্পায়ার না থাকার কারণ অজানা থাকলেও জালাল ইউনুস যোগ্যতা সম্পন্ন আম্পায়ার তৈরির উপর জোর দিচ্ছে, ‘‘ কারণ কিংবা ক্রাইসিস টা আমি বলতে পারবো না। তবে আমাদের ওই রকম আসরে আম্পায়ার পাঠানোর জন্য কোয়াটিসম্পন্ন আম্পায়ার দরকার। অনেক ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা দরকার। এছাড়া বড় বড় খেলা গুলোতে তাদের নিয়মিত আম্পায়ারিং করা দরকার।’
একজন ক্রিকেটার তৈরি করার জন্য বিবিসির মহা পরিকল্পনা থাকে, কিন্তু আম্পায়ার তৈরির সে রকম ঘরোয়া লিগে জোর দেওয়া যায় কি না?
এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেন, ‘একজন আম্পায়ারকে শুধু মাঠে আম্পায়ারিং করতে হয়, এমনটা নয়। তাকে টিভি আম্পায়ারিংও করতে হয়। এর জন্য আম্পায়ারদের টেকনিক্যাল অনেক কিছু জানতে হয়। তাই সব কিছু মিলিয়ে এমন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা থাকা উচিত।’