ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্সে টানা তিন ম্যাচ হারের পর প্রথম জয়ের দেখা পেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আজ সুপার সিক্সে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মোহামেডান ৭ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে।
এই ১৫ খেলায় ৭ জয় ও ৮ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্স টেবিলের ষষ্ঠ ও শেষ দল এখন মোহামেডান। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ জয় ৭ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকলো প্রাইম ব্যাংক।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে মোহামেডান। ব্যাট হাতে নেমে মোহামেডান বোলারদের তোপের মুখে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
মিডল-অর্ডারে অলক কাপালি ও নাহিদুল ইসলাম শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠে দলের স্কোর শতরানের কোটা পার করেন। কিন্তু দু’জনের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। কাপালি ৫৫ বলে ৪৩ ও নাহিদুল ৫৭ বলে ২৬ রান করেন। তাদের বিদায়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়েছিলো প্রাইম ব্যাংক। কিন্তু দলের শেষ তিন ব্যাটসম্যান সেটি হতে দেননি।
শেষ তিন ব্যাটসম্যান মনির হোসেন-আব্দুর রাজ্জাক ২২ রান করে ও আল-আমিন হোসেন ১৪ রান করে প্রাইম ব্যাংককে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন। ৪২ দশমিক ২ ওভারে ১৭৪ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের স্পিনার সাকলাইন সজীব ৪০ রানে ৪ ও সোহাগ গাজী ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মারমুখী মেজাজে শুরু করেন মোহামেডানের দুই ওপেনার লিটন দাস ও আব্দুল মাজিদ। ৫ ওভারেই ৪২ রান যোগ করেন তারা। ৭টি চারে ২০ বলে ৩২ রান করে লিটন থামলে ইরফান শুক্কুরকে নিয়ে জুটি বাঁধেন মাজিদ। ১১ রানের বেশি করতে পারেননি শুক্কুর। তাই দলীয় ৭৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় মোহামেডান।
তবে তৃতীয় উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়ে মোহামেডানের জয়ের পথ সহজ করেন মাজিদ ও রকিবুল হাসান। মাজিদ ৭১ বলে ৫৪ রান করে থামেন। তার ইনিংসেও ৭টি চার ছিলো। এরপর অবিচ্ছিন্ন ৫৬ রানের জুটি গড়ে মোহামেডানের জয় নিশ্চিত করেন রকিবুল, তুষার ইমরান। ৭টি চারে ৬৮ বলে অপরাজিত ৫২ রান করেন রকিবুল। ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন তুষার। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোহামেডানের সাকলাইন।