নয় ম্যাচ পর জয় রথ থামেলা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের সুপার সিক্সে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রূপগঞ্জ ৪ উইকেটে হেরে গেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে। তাই এই রাউন্ডে রূপগঞ্জ হেরে যাওয়ায় ও নিজেরা জয় তুলে নেয়ায় পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে এনেছে আবাহনী লিমিটেড।
এখন দু’দলের পয়েন্টের ব্যবধান ২। তারপরও ১৩ খেলা শেষে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রূপগঞ্জ। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী। আর রূপগঞ্জকে হারিয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এলো শেখ জামাল।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেয় রূপগঞ্জ। ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরু করতে পারেনি রূপগঞ্জ। ২৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে ওপেনার মোহাম্মদ নাইমের ব্যাটে চড়ে রানের চাকা সচল ছিলো রূপগঞ্জের। নিজের হাফ- সেঞ্চুরিও তুলে নেন নাইম। তবে বেশ ধীর গতিতে। শেষ পর্যন্ত ১১২ বলে ৫৮ রান করে থামেন নাইম। মাত্র ২টি চার মারেন তিনি।
নাইমের পর রূপগঞ্জের পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা কেউই ভাল ইনিংস খেরতে পারেননি। শেখ জামালের পেসার খালেদ আহমেদের বোলিং তোপে ১৭১ রানেই গুটিয়ে যায় রূপগঞ্জ। পরের দিকে ভারতের ঋষি ধাওয়ান ২৩, অধিনায়ক নাইম ইসলাম ১৯ ও উইকেটরক্ষক জাকের আলী ১৭ রান করেন। শেখ জামালের খালেদ ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৭২ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরু করতে পারেনি শেখ জামালও। ৪৩ রান উঠতেই ৩ উইকেট হারায় তারা। এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন মেইকশিপ্ট ওপেনার ইলিয়াস সানি ও অধিনায়ক নুরুল হাসান। চতুর্থ উইকেটে ৫১ রান যোগ করেন তারা। নুরুল ২৯ রানে থামলেও হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ পান সানি। তবে নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তিনি। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯৯ বলে ৫৮ রান করে আউট হন সানি।
সানির পর উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জিয়াউর রহমানও। তাই দলীয় ১৩৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনে চাপে পড়ে যায় শেখ জামাল। তবে চাপকে জয় করে দলকে খেলায় ফেরান তানবীর হায়দার ও তাইজুল ইসলাম। সপ্তম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রান করে শেখ জামালকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দেন তানবীর-তাইজুল।
২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৩ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করেন তানবীর। ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তাইজুল। ১০ ওভারে ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে রূপগঞ্জের হার এড়াতে পারেননি দলের বাঁ-হাতি স্পিনার নাবিল সামাদ। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শেখ জামালের সানি।