ডান-হাতি পেসার আল-আমিন হোসেনের বোলিং তোপে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে নবম রাউন্ডের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে মাত্র ৫০ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। বিকেএসপিকে ১৭২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক।
এই জয়ে ৯ খেলায় ৭ জয় ও ২ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রইল প্রাইম ব্যাংক। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২ জয় ও ৬ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে বিকেএসপি।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে প্রাইম ব্যাংক। ভারতের অভিমন্যু ইস্বরন ছাড়া প্রাইম ব্যাংকের উপরের সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। এরমধ্যে অধিনায়ক এনামুল হক ২৩ ও আল-আমিন ১৭ রানের ছোট ইনিংস খেলেন।
৭২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর প্রাইম ব্যাংকের হাল ধরেন ইস্বরন ও নাহিদুল ইসলাম জুটি। দ্রুত উইকেট হারানোর স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তারা। দলের স্কোর বড় করার পথে দু’জনই তুলে নেন হাফ-সেঞ্চুরি।
তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৯৪ রান করার পর দলীয় ১৬৬ রানে ভেঙ্গে যায় এ জুটি। ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭০ বলে ৫০ রান করে ফিরেন নাহিদুল।
তবে এক প্রান্ত আগলে সেঞ্চুরির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইস্বরন। কিন্তু দুভার্গ্য তার। ৯২ রানে থামতে হয় তাকে। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০৯ বলে ৯২ রান করেন ইস্বরন। তারপরও বড় সংগ্রহ পায়নি প্রাইম ব্যাংক শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২২ রান করে তারা। বিকেএসপির সুমন খান-নওশাদ ইকবাল ও হাসান মুরাদ ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ২২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের আল-আমিন হোসেনের বোলিং তোপে পড়ে বিকেএসপি। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। এরমধ্যে ৫টিই নেন আল-আমিন। শুরুতেই খাদের কিনারায় পড়ে যাওয়া বিকেএসপি আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি।
ফলে ২২ ওভারে ৫০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। দলের পক্ষে একমাত্র ডাবল ফিগারে পৌঁছাতে পারেন পারভেজ হোসেন ইমন। ১৫ রান করেন তিনি। ৮ ওভারে ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন আল-আমিন হোসেন।