ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়াল লিগে পর পর চার হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারস। উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবকে ৫০ রানে হারায় গাজী।
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাটিংয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারস। ওপেনার মাইশুক্কুর রহমান ও মেহেদি হাসান দুজনে মিলে তুলেন ৮১ রান।
পরে মাইশুক্কুর আউট হন ৪৪ রান করে। এরপর ইমরুল কায়েসকে সাথে নিয়ে জুটি শুরু করেন মেহেদি। কিন্তু সেটা বেশি দূর এগোয়নি। মাত্র ২০ রান করে আউট হন ইমরুল।
ইমরুল আউটের এক ওভার পরে আউট হন মেহেদি। তিনি ৪৪ রান করে ফিরেন। এরপর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে উত্তরা।
রনি তালুকদার (১৮), কামরান গোলাম (১০), তৌহীদ তারেক (১৬), শামছুল ইসলাম (৫), নাছুম আহমেদ (০) রান করে আউট হন। এছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বি ৭ এবং সনজিৎ সাহা ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
তবে এদিন সবার ব্যতিক্রম ছিলেন শামছুর রহমান। তিনিই তুলে নেন এক মাত্র সেঞ্চুরি। তিনি ৫৫ বলে ৫১ রান করেন।
ফলে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে উত্তরা তুলে ২৩৫ রান।
উত্তরার হয়ে আব্দুর রশিদ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া, আসাদুজ্জামান পায়েল, আনিসুল ইসলাম ইমন এবং শেখ হুমায়ূন দুটি করে উইকেট নেন।
২৩৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই বৃষ্টির বাঁধায় পড়ে উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব। এক ওভারের মতো খেলা মাঠে গড়ালেও বৃষ্টির কারণে তা বন্ধ করতে দিতে হয়। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ছিল ঘন্টা খানিকের মতো।
ফলে ৫০ ওভারের ম্যাচ নামিয়ে আনা হয় ৩৩ ওভারে। আর গাজীকে লক্ষ্য দেওয়া হয় ১৮৮ রানের।
শুরুটা ভালোও হলে গাজীর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে উঠে উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব। আনিসুল ইসলাম ইমনের ব্যাট এ দিন হাসলেও বাকীরা বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারে নি।
ইমন ২৯ বলে ৫০ রান করে আউট হন। এছাড়া তাজিদ হাসান ১৬, শাকির হোসাইন ২৮, শেখ হুমায়ূন ১৫ রান তুলেন। কিন্তু বাকী ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি ব্যার্থ হয়। তাই ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় উত্তরা।
ফলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারস ৫০ রানে জয় লাভ করে।