ওয়ালটন প্রিমিয়ার লিগে জহুরুলের সেঞ্চুরি আক্ষেপের দিনে জয়ে ফিলেছে আবাহানী। হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আবাহানীকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফিরা।
সোমবার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেটার স্টেডিয়ামে টসে জিতে আবাহানী প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে মোহামেডান। ব্যাক্তিগত ২৭ রান করে আউট হন লিটন দাস। এরপর আব্দুল মজিদ জুটি গড়েন ইফরান শুক্কুরকে নিয়ে। দলীয় ৮৭ রানের সময় মোসাদ্দেকের বলে আউট হয়ে ফিরেন আব্দুল মজিদ।
এরপর ইফরান শুক্কুর ও রাকিবুল ইসলাম জুটি গড়েন। দুজনেই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। দলীয় ৩৭.২ ওভারের সময় সাইফুদ্দিনের বলে বোল্ট হন ইফরান। তিনি ৭৮ বলে ৫৭ রান করে আউট হন।
ইফরান আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন নাদিফ চৌধুরী। কিন্তু তিনি রাকিবুল কে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেন নি। নাদিফ ফিলেন মাত্র ৭ রান করে।
নাদিফ ফেরার পর কিছুক্ষণ পরেই নাজমুল ইসলামের বলে ক্যাচ তুলে দেন রাকিবুল । রাকিবুল আউট হন ৫৪ বলে ৫১ রান করে।
এরপর মোহামেডান চাপে পড়ে। চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা ও সোহাগ গাজী জুটি গড়ে দলকে চাপ মুক্ত করেন। চাতুরাঙ্গা ২৪ বলে ৩২ এবং সোহাগ গাজী ২০ বলে ২৭ রান করে আউট হন।
ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল কে এদিন নামানো হয় ৮ নম্বরে। এসময় বোলার আলাউদ্দিন বাবু সঙ্গ দেন আশরাফুলকে। তবে আশরাফুল ৪ এবং ২ বাবু রান করে অপরাজীত থাকেন। ফলে ৫০ ওভারে মোহামেডান ৭ উইকেটে ২৪৮ রান তুলে।
আবাহানীর হয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাজমুল ইসলাম তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন একটি উইকেট পান।
২৪৯ রানের লক্ষ্যে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে আবাহানী। ওপেনার জহুরুল ইসলাম ও সৌম্য সরকারে জুটিতে বড় রানের সংগ্রহ গড়ে আবাহানী। তবে সৌম্য ব্যাক্তিগত ৪০ রানে আউট হন।
সৌম্য ফিরে যাওয়ার পর ভারতীয় ব্যাটসম্যান ওয়াসিম জাফ্ফারকে সাথে নিয়ে জুটি গড়েন জহুরুল। তবে ওয়াসিম ৪২ বলে ৩৮ রান করে আউট হন।
এরপর নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে জয়ের আভাস দিতে থাকে জহুরুল। তবে শান্ত বেশিদুর উইকেটে থাকতে পারেননি। তিনি আউট হন ১৬ রানে।
শান্তু ফিরে যাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন মোসাদ্দেক হোসনে। এসময় লিস্ট এ ক্যাটাগরির নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরির আভাস দিচ্ছিলেন জহুরুল। তবে জহুরুলের গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায় মোহামেডানের বোলার শাহাদত হোসেন। তার বলে সেঞ্চুরির খুব কাছে এসে আউট হন জহুরুল। তিনি ১৩১ বলে ৯৬ রান করে আউট হন।
এরপর মোসাদ্দেকের সাথে সঙ্গ দেন সাব্বির। তাদের জুটিতে জয়ের দেখা পায় আবাহানী। ৬ উইকেটে জয় পায় মাশরাফিদের দল।
মোহামেডানে হয়ে শাহাদত হোসেন দুই উইকেট নেন। এছাড়া, সফিউল ইসলা ও ডি সিলভা একটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান: ৫০ ওভারে ২৪৭/৭; (লিটন দাস ২৭, আব্দুল মজিদ ২৬, ইফরান শুক্কুর ৫৭, রাকিবুল হাসান ৫১, নাদিফ চৌধুরী ৭, চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা ৩২, সোহাগ গাজী ২৭, মোহাম্মদ আশরাফুল ৪*, আলাউদ্দিন বাবু ২*; মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩/৩১, নাজমুল ইসলাম ৩/২৯, মোসাদ্দেক হোসাইন ১/২৭)
আবাহানী: ৫০ ওভাবে ২৫৪/৪ (জহুরুল ইসলাম ৯৬, সৌম্য সরকার ৪৩, ওয়াসিম জাফ্ফার ৩৮, নাজমুল হাসান শান্ত ১৬, মোসাদ্দেক হোসেন ১৬*, সাব্বির রহমান ১১*; শাহাদত হোসেন ২/৫৯, শফিউল ইসলাম ১/ ৪৯, ডি সিলভা ১/২৬)
ম্যাচ অফ দা ম্যাচ: জহুরুল ইসলাম।