ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তারকা খেলোয়াড়ের ভরপূর আবাহানী টানা তৃতীয় জয় তুলে নিলো। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১৪ কে হারায় আবাহানী।
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্রাদার্স ইউনিয়ন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাটিংয়ে নেমে আবাহানীর শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১২ রানে আউট হন জাহিদ জাবেদ। এরপর ভারতীয় ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফ্ফার ব্যাটে নেমে ব্যার্থ হন। মাত্র ৮ রানে আউট হন তিনি।
পরে আবাহানী শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মেহেদি। ১৪ রান করে মেহেদির বলে আউট হন ওপেনার জহুরুল।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আবাহানী। তবে সেই চাপ সামলাতে জুটি গড়েন নাজমুল হাসান শান্ত ও মোসাদ্দেক হোসেন। মান রক্ষার জুটিতে দলীয় রান যখন ৯৫ তখন আবাহানীতে আঘাত হানেন নাঈম ইসলাম। নাঈমের বলে ৪৪ রান করে আউট হন শান্ত। শান্ত আউটের পর ব্যাটিংয়ে নেমে সাব্বির বেশি দূর এগোতে পারেননি। তিনি আউট হন ১৩ রানে।
তবে একপাশ আগলে রেখেন আবাহানীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক। পরে মোসাদ্দিক ফিরেন ৫৪ রান করে। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন সাইফউদ্দিন ও মাশরাফি।
মাশরাফি দলে ফিরেই দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দেন। অপরদিকে সাইফউদ্দিনও দুর্দান্ত খেলেন। সাইফউদ্দিন ৫৯ রান করেন।
অপরদিকে, মাশরাফি এক ছক্ক ও তিন চারের মারে ১৫ বলে গুরুত্বপূর্ণ ২৬ রান করেন। ফলে আবাহানী মান রক্ষার রান তুলে। আবাহানী নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান তুলে।
ব্রাদার্স ইউনিয়নের মেহেদি ও নাঈম ইসলাম জুনিয়র দুইটি করে উইকেট নেন। এছাড়া, ভারতীয় বোলার চিরান জানি ও শরিফুল্লাহ একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে আবাহানীর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই চাপে পড়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দলীয় ৩২ রানেই ব্রাদার্সের তিন নেই তিন উইকেট। মিজানুর রহমান, হামিদুল ইসলাম ও জুনায়েদ সিদ্দিকি ১২ ওভারের মধ্যেই আউট হয়ে যান।
এরপর চিরান জানি ও ইয়াসির আলী জুটি গড়েন। তবে সেটা বেশিদূর এগোয়নি। মাত্র ১৫ রান করে আউট হন জানি।
ইয়াসির আলী একপাশ আগলে রাখলেও ব্রাদার্স ইউনিয়নের বাকী ব্যাটসম্যানদের মাঝে ছিল আসা যাওয়ার খেলা। ফজলে মাহমুদ (১৩) ও শরিফুল্লাহ (২১) রান করে আউট হন।
এরপর মোহাম্মদ শরিফ কে সাথে নিয়ে ইয়াসির আলী জয়ের দিকে দলকে টেনে নিয়ে যায়। এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ইয়াসির। তিনি ১০৫ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন।
ব্রাদার্সের শেষ ওভারের দরকার ছিল ২৩ রান। কিন্তু আবাহানীর রুবেলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে ব্রাদার্সের ৮ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানে ইনিংস থামে। ফলে আবাহানী
আবাহানীর হয়ে মাশরাফি ও সাব্বির দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া সাইফুদ্দিন ও সানজামুল একটি করে উইকেট নেন।