ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। আজ গাজী ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি)। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের কাছে ৩ উইকেটে হেরেছিলো গাজী। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবাহনীর কাছে ৬০ রানে হেরেছিলো বিকেএসপি।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে গাজী গ্রুপ। ব্যাট হাতে উড়ন্ত সূচনা ছিলো বিকেএসপির। উদ্বোধনী জুটিতে ১৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার রাতুল খান ও মাহমুদুল হাসান জয়। রাতুল ধীর গতির হলেও, রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন জয়। ৮৬ বলে ৩৪ রানে থামেন রাতুল। ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯৩ বলে ৮৫ রান করেন জয়।
এরপর চার নম্বরে নেমে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন শামিম হোসেন। কিন্তু পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা ডাবল-ফিগারেই পৌঁছাতে পারেননি। তিন নম্বরে নামা আমিনুল ইসলাম একাই দলকে সামনের দিকে নিয়ে যান। তার অপরাজিত ৬৩ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৯ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় বিকেএসপি। গাজীর আবু হায়দার-কামরুল ইসলাম রাব্বি ২টি করে উইকেট নেন।
২৫০ রানের লক্ষ্যে ২৪ রানে দুই ওপেনারকে হারায় গাজী। রনি তালুকদার ১৫ ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ৪ রান করে আউট হন। এরপর দলের হাল ধরেন মেহেদি হাসান ও শামসুর রহমান। ৬২ রানের জুটি গড়েন তারা। শামসুর ২৩ রানে থামলেও ব্যাট হাতে রান তোলায় ব্যস্ত ছিলেন মেহেদি। তাকে সঙ্গ দেয়ার সুযোগ নষ্ট করেন ভারতের পারভেজ রসুল। ১ রান করে ফিরেন তিনি।
৯২ রানে ৪ উইকেট হারালে চাপে পড়ে যায় গাজী। সেই চাপ আরও বাড়ে যখন ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৩ বলে ৭০ রান করে আউট হন মেহেদি। তবে ছয় নম্বরে নামা তৌহিদ তারেক দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৩টি করে চার-ছক্কায় ৯৩ বলে অপরাজিত ৭৬ রান করেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন শামসুল ইসলাম ও আবু হায়দার। শামসুল ১৫ ও আবু হায়দার অপরাজিত ৩২ রান করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন তারেক।