ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের (ডিপিএল) খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির দেওয়া সহ লক্ষ্য কঠিন করে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। খেলাঘরকে ২ উইকেটে হারায় প্রাইম ব্যাংক।
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খেলাঘরের। ব্যাক্তিগত ৪ রান করে অঙ্কন সাজঘরে ফিরেন। এরপর রবি জুটি গড়েন অমিতকে নিয়ে। কিন্তু সেটাও বেশিদূর এগোয়নি।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব একটা বেশি সুবিধা করতে পারেনি খেলাঘর। অমিত মজুমদার (৩৬), অশোক (৩৫), নাজিমদ্দিন (২৯) ও মাসুম খান (১৭) রান করেন। ফলে প্রাইম ব্যাংকের ১৯৫ রানে তাদের ইনিংস।
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে আরিফুল চার ও অলক কাপালি তিনটি উইকেট নেন।আলামিন ও আব্দুর রাজ্জাক একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের শুরুটা দুর্দান্ত হয়। দলীয় ৬৩ রানের সময় প্রাইম ব্যাংকে আঘাত হানেন রবিউল হক। এনামুল ফিরেন ব্যাক্তিগত ৩৭ রান করে। রুবেল মিয়া ও ভারতীয় ক্রিকেটার সন্দীপ চ্যাটার্জী জুটি গড়েন।
তবে দলীয় ৯৬ রানের সময় সাজঘরে ফিরেন রুবেল। এরপর প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটিং তাসের ঘরের মতো হয়ে যায়। ব্যার্থ মিডল অর্ডার। সন্দীপ চ্যাটার্জী (১৪), জাকির হাসান (৬), আলআমিন (১২) , অলকাপলি (৪) রান করেন ফিরেন।
এমন অবস্থায় দল যখন হাবুডুবু খাচ্ছিলো তখন নাহিদুল ও আরিফুল জুটি গড়েন। জয়ের কাছাকাছি যখন প্রাইম ব্যাংক তখন ব্যাক্তিগত ৩১ রান করে ফিরেন নাহিদুল।
পরে আরিফুল ও মহর শেখের জুটিতে গড়েন। জয়ের জন্য যখন ২ দুই রান দরকার তখন ফের উইকেট হারায় প্রাইম ব্যাংক। মহর শেখ ফিরেন ৬ রানে।
পরে আব্দুর রাজ্জাককে সাথে নিয়ে আরিফুল ২ উইকেটে জয় তুলে নেয়। আরিফুল ৩২ রানে অপরাজীত থাকেন।
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির হয়ে ইফরান হোসেন তিন এবং রবিউফ হক দুই উইকেট নেন। এছাড়া, মাসুম, রবি ও ইফতেখার একটি করে উইকেট নেন।