একাদশ নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের টমাস-গেইল এই দুজনের কাছেই পরাস্ত ইংল্যান্ড। গতিময় পেসার ওশেন টমাসের দুর্দান্ত পাঁচ উইকেট ও ক্রিস গেইলের দ্রুততম ফিফটির সুবাদে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়রা।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করেছে জেসন হোল্ডারের দল। ১১৪ রানের ছোট লক্ষ্য ২২৭ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় তারা।
সেন্ট লুসিয়ায় শনিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সবুজ ঘাসে ছাওয়া বাউন্সি উইকেটের সঙ্গে একদমই মানিয়ে নিতে পারেনি তারা। বাড়তি বাউন্স ভুগিয়েছে সফরকারীদের সব ব্যাটসম্যানকে।
ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা গড়ে তুলতে পারেনি তেমন কোনো জুটি। দায়িত্ব নিয়ে পড়ে থেকে দলকে টানার চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা দেখা যায়নি কারোর মাঝে। সফরকারীদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন গতির ঝড় তোলা টমাস। জীবনে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নিয়ে লক্ষ্যটা খুব ছোট রাখেন তিনি।
সর্বোচ্চ ২৩ রান করে আসে অ্যালেক্স হেলস ও জস বাটলারের ব্যাট থেকে। অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান ফিরেন ১৮ রান করে। ২১ রানে ৫ উইকেট নেন টমাস। দুটি করে উইকেট নেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ও হোল্ডার।
ছোট রান তাড়ায় ক্যারিবিয়ানে নিজের সবশেষ ওয়ানডে ইনিংসে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন গেইল। কোথায় বল ফেলবেন তা যেন ভেবে পাচ্ছিলেন না মার্ক উড ও ক্রিস ওকস। মাত্র ১৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন গেইল, ওয়ানডেতে এটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ফিফটি।
২০১০ সালে অ্যান্টিগায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০ বলে ফিফটি করে রেকর্ড গড়েছিলেন ড্যারেন স্যামি। তার নামে নামকরণ হওয়া স্টেডিয়ামে রেকর্ড নিজের করে নিলেন গেইল। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে বাঁহাতি এই ওপেনার ২৭ বলে নয় ছক্কা ও পাঁচ চারে ফিরেন ৭৭ রান করে।
এক সিরিজে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড আগেই করেছিলেন গেইল। সেটা প্রায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন তিনি। সিরিজে হাঁকিয়েছেন ৩৯ ছক্কা! ছয় ইনিংসে রোহিত শর্মার ২৩ ছক্কা ছিল আগের রেকর্ড। গেইলের আগে ফিরেন জন ক্যাম্পবেল, পরে শেই হোপ। ড্যারেন ব্রাভোকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন শিমরন হেটমায়ার।
দারুণ বোলিংয়ে সুর বেঁধে দেওয়া টমাস জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ব্যাট হাতে দারুণ সময় কাটানো গেইল জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২৮.১ ওভারে ১১৩ (বেয়ারস্টো ১১, হেলস ২৩, রুট ১, মর্গ্যান ১৮, স্টোকস ২৩, মইন ১২, ওকস ০, কারান ০, রশিদ ০, উড ০*; কটরেল ১/২৩, হোল্ডার ২/২৮, ব্র্যাথওয়েট ২/১৭, টমাস ৫/২১, নার্স ০/২৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১২.১ ওভারে ১১৫/৩ (গেইল ৭৭, ক্যাম্পবেল ১, হোপ ১৩, ব্রাভো ৭*, হেটমায়ার ১১*; ওকস ১/৫৬, উড ২/৫৫, কারান ০/৪)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শেষ ২-২ সমতায়
ম্যান অব দা ম্যাচ: ওশেন টমাস
ম্যান অব দা সিরিজ: ক্রিস গেইল