এ যেন চার ছক্কা মারার প্রতিযোগীতা। পুরো ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানেরা মারলেন ২৪টি ছয় আর ব্যাটিংয়ে নেমে ক্রিস গেইল একাই মারলে ১৪টি। তবে গেইলের তাণ্ডবের পর পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৯ রানে হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪১৯ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারী ইংল্যান্ড। দলের হয়ে অধিনায়ক ইয়ন মরগান সেঞ্চুরি করেন। জস বাটলার ৭৭ বলে ১৫০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। এছাড়া হেলসের বড় এবং বেয়ারস্টোর ছোট ফিফটিতে ওয়ানডের যৌথভাবে অষ্টম সর্বোচ্চ রান তোলে তারা।
পাল্টা দেওয়ার দায়িত্ব নেন 'ইউনিভার্স বস' ক্রিস গেইল। চারশ' ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়া করা কঠিন। কন্তিু অসম্ভব নয়। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ক্রিকেট বিশ্বকে এই বার্তাই দিয়ে গেছেন তিনি। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে গেইল খেলেছেন ৯৭ বলে ১৬২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। সিরিজে দুর্দান্ত দুই সেঞ্চুরি পাওয়া গেইল এই ইনিংস মেরেছেন ১৪টি ছক্কা। এছাড়া চারের মার মেরেছেন ১১টি।
বিনোদন দেওয়া ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত গেইল এ ম্যাচে ক্যারিয়ারের পাঁচশ' ছক্কার মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি তিনশ' ছক্কা হাঁকানোর কীর্তি গড়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দশ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার পথটা এগিয়ে রেখেছেন। যতক্ষণ ব্যাটিং ছিলেন মনে হয়নি গেইল থামবেন। কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারবে। কিন্তু দলের ২৯৫ রানে তিনি ফিরে গেলে আশা ফিকে হয়ে যায় স্বাগতিকদের।
শেষ পর্যন্ত ৩৮৯ রান করে থামে উইন্ডিজ। দুই ওভার হাতে থাকতে অলআউট হয়ে যায় তারা। ইনিংসের ৪৮তম ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন আদিল রশিদ। তিনি আছেন হ্যাটট্রিকের সামনে। ম্যাচে অবশ্য তিনি ৮৫ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন।
সর্বোচ্চ রান খরচা করে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এটি। এছাড়া এক ইনিংসে ২৪ ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। এক ম্যাচে দু'দল মিলে ৪৬টা ছক্কা মেরেছে। আগের রেকর্ড ছিল ৩৯ ছক্কার।
ম্যাচে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে অন্যরা খুব একটা ভালো খেলেননি। চারশ' ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়া করতে গেলে একার ব্যাটে জয় পাওয়া কঠিন। শুরুতে ক্যাম্পবেল-শাই হোপ ফিরে যান। ড্রারেন ব্রাভো করেন ৬১ রান। পরেই দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া হেটমায়ার আউট হন।
ব্রাথওয়েট ফিফটি করেন। অ্যাসলে নার্স করেন ৪৩ রান। যা হারের ব্যবধান কমিয়েছে। হোল্ডারের ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ রান। শেষ তিন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট হন। না হলে হারের ব্যবধান আরও কমত। ইংল্যান্ডের হয়ে মার্ক উড নেন ৪ উইকেট। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২-১ এ এগিয়ে।