বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত খেলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন টাইগাার ওপেনার তামিম ইকবাল। শেষ ম্যাচে খেলেছেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস, করেছিলেন ১৪১ রান। তবে বিপিএল শেষে নিউজিল্যান্ড গিয়ে সেই তামিমকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নিউজিল্যান্ড সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে সিরিজ হার নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচ বাংলাদেশ ৮ উইকেটে হেরেছে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের করা ২৩২ রানের বিপরীতে ৩৩ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। সেই ম্যাচে তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৫ রান। তিনি এ রানে আউট হওয়ার আগে বল খেলেছিলেন ৬টি।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ রান করেছিল আগের ম্যাচের চেয়ে আরও কম, ২২৬। সেই ম্যাচে ৮৩ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। ম্যাচ হারার সাথে সিরিজ হেরে যাওয়ার নিশ্চিত হওয়া সেই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন তামিম। ২৮ বল খেলে করেছিলেন ৫ রান।
আরও পড়ুন> হার দিয়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজ শুরু টাইগারদের
প্রথম দুই ম্যাচে তামিমে ব্যাটে রান আসলেও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে রানের প্রত্যাশা ছিল টাইগার ভক্তদের। তবে সেখানেও সেই ব্যর্থতা। ২ বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে ফিরেছেন তামিম। ৩৩১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বড় টার্গেটটা আরও বড় করে দিলেন তিনি। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে শুধু তামিম একা নন, টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন দলীয় মাত্র ২ রানে।
৪ বল মোকাবেলা ১ রান করে লিটস দাস এবং ২ বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। দলীয় ২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে খাঁদের কিনারায় দাঁড়ানো বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায় মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লার ব্যাটে।
আরও পড়ুন> আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা, সিরিজ হারলো বাংলাদেশ
এদিকে শুধু তামিম ইকবাল নয়, পুরো সিরিজ জুড়ে রান সঙ্কটে ভুগেছে বাংলাদেশ। একমাত্র মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে প্রথম দুই ম্যাচে দুটির হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে তার ছিল যথাক্রমে ৬০ ও ৫৭। ইনজুরির কারণে সিরিজের শেষ ম্যাচে তিনিও খেলতে পারেননি।
এছাড়া প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে ৪১ এবং সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে ৩০ রান এসেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে মিঠুন ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছিল সাব্বিরের ব্যাট থেকে। তিনি করেছিলেন ৪৩ রান। আর শেষে তার ব্যাট থেকে এসেছে ফিফটির মার।