আগামী ১ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের আসর। অথচ গত আসরের বকেয়া টাকা এখনও বুঝে পায়নি কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের খেলোয়াররা। এবারের মতো লিগ শুরু করলেও আগামীতে নিয়ম না মানা ক্লাবগুলোকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।
খেলোয়াড়দের বকেয়া টাকা সময় মতো পরিশোধ না করার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। সমস্যাটি বেশ পুরনো। তবে প্লেয়ার্স ড্রাফট প্রক্রিয়ার শুরু হওয়ার পরও হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বাইলজে কিছু পরিবর্তন আনছে বলেই জানালেন সিসিডিএম ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ, ‘আগামী ড্রাফটে আমরা একটি নতুন নিয়ম আনতে যাচ্ছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্লাব যদি খেলোয়াড়দের বকেয়া শোধ করতে না পারে তাহলে বিসিবি পরিমাণ অনুযায়ী সে দলের পয়েন্ট কাটতে পারবে এবং চাইলে সে দলকে টুর্নামেন্ট থেকে সাসপেন্ডও করতে পারবে। আগামী সভাতে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করব এবং একটি লিখিত নিয়ম চালু করব।’
নতুন নিয়ম চালুর আগেই ক্লাব গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে ক্লাবগুলো। এর মধ্যে ক্লাবগুলো নিজেদের রিটেইন লিস্ট পাঠিয়ে দিয়েছে সিসিডিএমকে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল এর শেষ তারিখ। প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা নতুন দুটি দল উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব ও বিকেএসপি ছাড়া বাকী সব দলই ৩ জন করে খেলোয়াড় রিটেইন করেছে।
তবে উত্তরা ও বিকেএসপির জন্য ড্রাফটের শুরুতে খেলোয়াড় নেওয়ার ব্যবস্থা রাখছে তারা। আর সেটা হওয়ার কথা শনিবারই। তাই ১২টি দলের মোট ৩৬জন ক্রিকেটার বাদে বাকী খেলোয়াড়দের নিয়ে আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। তালিকায় প্রায় ২৫০ মতো খেলোয়াড়ের নাম থাকছে।
অন্যান্য বারের মতো এবার কোন আইকন খেলোয়াড় থাকছে না। মোট সাতটি ক্যাটাগরি থাকছে। এ প্লাস গ্রেডের খেলোয়াড় পাচ্ছেন ২৫-৩৫ লাখ টাকা। এ গ্রেড ২০-২৫ লাখের এর মধ্যে, বি প্লাস রেখেছি ১৫-১৮ লাখ এভাবে ডি পর্যন্ত থাকছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এ প্লাসে টাকার পরিধিটি বড় (২৫-৩৫ লাখ) হওয়ায় মাশরাফি বিন মুর্তজা, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইমরুল কায়েসদের মূল্যটা জানিয়ে দেবে সিসিডিএমই। আর খেলোয়াড়দের সংখ্যাটাও কম নয়। নয়জন খেলোয়াড় আছেন এ প্লাসে।
জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে একমাত্র মাশরাফি ও ইমরুলকেই রিটেইন করেছে ক্লাবগুলো। কারণ নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে খেলছেন না তারা। আর সিরিজ থাকায় পুরো আসর খেলতে পারছেন না বাকী খেলোয়াড়রা। মুশফিক, তামিম ও সাকিবসহ আরও বেশ কিছু নাম রয়েছে এ তালিকায়। আর এ কারণেই জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের রিটেইন করতে চায়নি ক্লাবগুলি।