স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মিঠুন-সাইফউদ্দিনের ব্যাটে ফাইটিং স্কোর দাঁড় করিয়ে বাংলাদেশ। মিঠুনের ৬২ এবং সাইফউদ্দিনের ৪১ সুবাদে নিউজিল্যান্ডকে ২৩৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা।
ম্যাকলিন পার্কে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে শুরুতেই হোঁচট খায় টাইগাররা। ট্রেন্ট বোল্টের সর্পিল সুইংয়ে উইকেটের পেছনে টম লাথামকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইনফর্ম ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ম্যাট হেনরির বলে সোজা বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন দাস।
প্রিয় পজিশন চারে ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিম। বোল্টের বলে কাট করতে গিয়ে তিনি প্লেড-অন হয়ে ফিরলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতিতে অবিচল থাকতে পারেননি সৌম্য সরকার। হেনরির বাউন্সারে হুক করতে গিয়ে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা এ বাঁহাতি। ফেরার আগে ২২ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করেন তিনি।
পরে খেলা ধরার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে যথার্থ সঙ্গ দেন মোহাম্মদ মিঠুন। ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলেন তারা। তবে বোঝাপড়া গড়ে উঠতেই পথচ্যুত হন মাহমুদউল্লাহ। লুকি ফার্গুসনের বলে রস টেলরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
চরম বিপর্যয়ের মুখে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সাব্বির রহমান। মিচেল স্যান্টনারের বলে ভারসাম্য হারিয়ে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনি। এ হার্ডহিটার ফিরলে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মিঠুন। ভালো সঙ্গও পান তিনি। ফলে তাদের মধ্যে জুটি গড়ে ওঠে।
এতে কচ্ছপগতিতে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু আচমকা থেমে যান মিরাজ। ক্রিজে নামার পর থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন তিনি। স্যান্টনারকে বড় শট খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ২৬ রানে জিমি নিশামকে ক্যাচ দিয়ে আসেন তিনি।
একপ্রান্ত আগলে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে লড়াই করছিলেন মিঠুন। তার সঙ্গী হন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৭৩ বল ৪টি বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিঠুন।
আপাতদৃষ্টিতে ধীরগতির ইনিংস হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় এটা ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। দারুণ ব্যাটিং করেন সাইফউদ্দিন। হাফ সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে স্যান্টনারের শিকার হওয়ার আগে তিনি করেন ৫৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৪১ রান। মিঠুনের সঙ্গে তার ৮ম উইকেট জুটিতে আসে ৮৪ রান। ফার্গুসনের বলে মিঠুন থামেন ৯০ বলে ৬২ রানে। মুস্তাফিজের (০) বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ।