একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশে। মুশফিক-মাহমুদুল্লাহদের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড একাদশ ২ উইকেটে জয় তুলে নেয়।
মুশফিকুর রহিম (৬২), মাহমুদুল্লাহ (৭২), সাব্বির রহমানে (৪০) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সুবাদে বাংলাদেশ ২৪৭ রান তুলে। জবাবে নিউজিল্যন্ড একাদশ ৮ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়।
লিঙ্কনে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিকদের আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা সুখকর হয়নি বাংলাদেশের। দলকে শুভ সূচনা এনে দিতে পারেননি উদ্বোধনী জুটি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ১০ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন মুমিনুল। তার বিদায়ের ৩ বলের মধ্যে সাজঘরের পথ ধরেন লিটনও। আউটের আগে তিনি ১০ বল খেলে ৩ রান করেন।
এরপর ক্রিজে মুশফিকের সাথে সৌম্য সরকার যোগ দিয়ে তিনিও দলের বিপর্যয় বাড়িয়ে ফিরে যান। ৯ বল খেলে ১ রান করেন সৌম্য। মোহাম্মদ মিঠুনও ৫ বল মোকাবেলা করে আউট হন ১ রানে। দলীয় ৩১ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন মুশফিক ও রিয়াদ। দু’জনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১০৮ রান। অর্ধশতক করেন উভয় ব্যাটসম্যান। ৮ চারের সাহায্যে ৪৬ বলে অর্ধশতক তুলেন মুশফিক। অন্যদিকে ৬৬ বল মোকাবেলায় ৭ চারে অর্ধশতক করেন রিয়াদ।
৬১ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে মুশফিক বিদায় নিলে দলীয় ১৩৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় টাইগাররা।মুশফিক ফিরে যাওয়ার পর সাব্বিরকে সাথে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন রিয়াদ। দু’জনে মিলে গড়েন ৩৫ রানের জুটি। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান। ৮৮ বলে তিনি করেন ৭২ রান।
এর কিছুক্ষণ পর অধিনায়ক মিরাজও সাজঘরে ফিরলে ১৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে সফরকারীরা। দলের এমন পরিস্থিতিতে লড়ে যান সাব্বির। ৪১ বলে ৬ চারে ৪০ রানের ইনিংস খেলে তিনিও আউট হলে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত হয় সফরকারীরা।
৪০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন সাব্বির। এছাড়া শেষ দিকে নাঈম হাসানের অপরাজিত ১৭ ও মোস্তাফিজের ১২ রানে ভর করে অল-আউট হওয়ার আগে ২৪৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। স্বাগতিক বোলারদের মধ্যে ম্যাকপিক ৩৮ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট লাভ করেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন কিউই ওপেনার অ্যান্ড্রু ফ্লেচার। ১১২ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলে শতকের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে থামাতে সক্ষম হয়েছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফ্লেচারকে দলীয় ১৮২ রানের মাথায় সাজঘরে পাঠিয়েছেন তিনি।
ফ্লেচার ফেরার মাত্র ৬ রানে ব্যবধানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বসেছে নিউজিল্যান্ড একাদশ। রাচিন রবীন্দ্রকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন সৌম্য সরকার। এরপর মিরাজ, মোস্তাফিজ ও মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত বোলিংয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড একাদশ। তবে এম ডব্লিউ চু ও এটিই হ্যাজেলডাইন পার্টনারশিপ গড়ে দলকে ২ উইকেটে জয় উপহার দেন।
মিরাজ, মোস্তাফিজ ও মাহমুদউল্লাহর দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া সৌম্য সরকার ও নাঈম হাসান একটি করে উইকেট নেন।