ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতলো নিউজিল্যান্ড। ৩৪ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের এ স্বাদ দিলেন বাঁ-হাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। মূলত তার কারণেই ২০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চে শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বোল্টের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং নৈপুন্যে ক্যারিবীয়দের ২০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারায় নিউজিল্যান্ড। রান বিবেচনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটিই নিউজিল্যান্ডের বড় ব্যবধানে জয়ের নতুন রেকর্ড। সিরিজ জয়ের পাশাপাশি ২-০ ব্যবধানে এগিয়েও থাকলো কিউইরা।
প্রথম ম্যাচ জয়ের পর এবার টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে নিউজিল্যান্ড। দলকে ৪১ বলে ৫০ রানের সূচনা এনে দেন স্বাগতিক দুই ওপেনার জর্জ ওর্কার ও কলিন মুনরো। ২৫ বলে ৩০ রান করে থেমে যান মুনরো। তবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৫৮ রানে থামেন ওর্কার। তার ৫৩ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল।
দুই ওপেনার ভাল ইনিংস খেললেও তিন নম্বরে নামা নিল ব্রুম মাত্র ৬ রান করে ফিরেন। ফলে ১২৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর মিডল-অর্ডারে রস টেইলরের ৬৬ বলে ৫০ রানে বড় সংগ্রহের পথ ধরে রেখেছিল কিউইরা।
সেই পথ ধরে ষষ্ঠ উইকেটে ৯৮ বলে ১৩০ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে ৩২৫ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন হেনরি নিকোলস ও টড অ্যাস্টল। ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬২ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন নিকোলস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বাঁ-হাতি পেসার শেল্ডন কটরেল ৩ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৩২৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বোল্টের বোলিং তোপে পড়ে ক্রিস গেইলবিহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫২ রানে পতন হওয়া ক্যারিবীয়দের প্রথম ৪ উইকেটের সবক’টিই শিকার করেছেন বোল্ট। এতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মিডল-অর্ডারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে নিউজিল্যান্ডের জয়ের পথ তৈরি করে ফেলেন ডান-হাতি পেসার লুসি ফার্গুসন। ১৭ রানের ক্যারিবীয়দের মিডল-অর্ডারে ৩ ব্যাটসম্যানকে শিকার করেন তিনি।
শেষদিকে আরও ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজেকে ১২১ রানেই বেঁধে ফেলেন বোল্ট। ক্যারিবিয়দের পক্ষে অ্যাশলে নার্স ২৭ ও শাই হোপ ২৩ রান করেন। ম্যাচ শেষে বোল্টের বোলিং ফিগার ছিল ১০ ওভারে ৩৪ রানে ৭ উইকেট।
এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। এ নিয়ে তৃতীয়বার পাঁচ বা ততোধিক উইকেট শিকার করলেন বোল্ট।ফলে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি।
এমন বোলিং আশা করেননি বোল্ট নিজেও। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘উইকেট থেকে শুরুতে ভালো মুভমেন্ট পাওয়া গেছে। তবে ৭ উইকেট পাব, এটি আশা করিনি। অনেকগুলো ভালো বাউন্স দিতে পেরেছি। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পেরেছি।’
আগামী ২৬ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড : ৩২৫/৬, ৫০ ওভার (নিকোলস ৮৩*, ওয়ার্কার ৫৮, কটরেল ৩/৬২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ১২১/১০, ২৮ ওভার (নার্স ২৭, হোপ ২৩, বোল্ট ৭/৩৪)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ২০৪ রানে জয়ী।
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড।