সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টাইগারদের দুর্দান্ত বোলারে দুইশত পেরোতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ওয়ানডেতে টসে জিতে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ। শুরুতেই স্পিন আক্রমণে বিপদে পড়ে গেছে সফরকারী উইন্ডিজ। আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেহেদী মিরাজ। আগের ম্যাচের মতোই এবারও তার প্রথম শিকার চন্দ্রপল হেমরাজ (৯)। বলটি একটু টেনে দিয়েছিলেন মিরাজ। লেংথ পড়তে একটু গড়বড় করে সোজা পয়েন্টে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ক্যাচ দেন হেমরাজ।
প্রথম উইকেটের মতো বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটও এলো মিরাজের হাত ধরে। ড্যারেন ব্রাভোকে বোল্ড করে ভাঙলেন জমে উঠতে থাকা জুটি। উইন্ডিজের দলীয় ৫৭ রানে লেগ-মিডল স্টাম্পে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন মিরাজ। ব্রাভো চেয়েছিলেন উড়িয়ে মারতে। কিন্তু বেশি জোরে শট খেলতে গিয়েই হয়তো করতে পারেননি টাইমিং। বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ২৬ বলে ১০ রান করে ফিরলেন ব্রাভো।
তৃতীয় উইকেট আসে রুবেল হোসেনের স্থলাভিষিক্ত সাইফ উদ্দিনের হাত ধরে। তরুণ পেসারের সোজা বোল্ড হয়ে যান ১৯ রান করা স্যামুয়েলস। বিপজ্জনক শেমরন হেটমায়ার 'ডাক' মারেন মিরাজের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে। তরুণ স্পিনারের বলে মুশফিকের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে চতুর্থ শিকার হন রোভম্যান পাওয়েল (১)। সাইফউদ্দিনের বলে রোস্টন চেইস পরাস্ত হলে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। ডাইভ দিয়েও বলটি থামাতে পারেননি মুশফিক। বল লাগে তার ঠিক পেছনে মাটিতে পড়ে থাকা হেলমেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেনাল্টি হিসেবে পায় ৫ রান।
এরপর মঞ্চে আবির্ভাব সাকিব আল হাসানের। বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডারের ঘূর্ণিতে সীমানর ওপর থেকে রোস্টন চেইসের (৮) দুর্দান্ত ক্যাচ নেনে সৌম্য সরকার। এই ঘূর্ণি তারকার দ্বিতীয় শিকার এক ছক্কায় ৬ রান করা অ্যালান। শাই হোপের সঙ্গে কিমো পলের জুটি দাঁড়াতে পারেনি। অধিনায়ক মাশরাফির দারুণ এক ডেলিভারিতে পলের (১২) লেগস্টাম্প উড়ে গেলে ১৭১ রানে ৮ম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অধিনায়কের দ্বিতীয় শিকার কেমার রোচ (৩)। রিভিউ নিয়েও এলবিডাব্লিউডের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেননি এই পেসার।
দলের ৯ উইকেট পতনের পর দেবেন্দ্র বিশুকে সঙ্গী করে সেঞ্চুরি তুলে নেন শাই হোপ। সাকিব আল হাসানকে ছক্কা মেরে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তিন অংক স্পর্শ করতে হোপ খেলেন ১২১ বল। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৮ রানে শেষ হয় উইন্ডিজের ইনিংস। বল হাতে মাত্র ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন মিরাজ। ২টি করে উইকেট নেন মাশরাফি এবং সাকিব। ১টি উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন।