ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামীকাল শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে নামবে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ার জন্য ব্যাটিংয়ে কৌশলগত কিছু পরিবর্তন আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে সৌম্যকে তিনে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মাশরাফি, ‘আমি প্রথম ম্যাচে বলেছিলাম সৌম্যর জন্য বেস্ট পজিশন হচ্ছে ওপেন বা তিন নম্বর। কারণ ও পেস বোলিং খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সার্কেলটা ব্যবহার করলে ওর জন্য সবচেয়ে ভালো হয়। আসলে এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছে, যার কারণে ওকে ওই পজিশনে সেট করতে হয়েছে। তবে এটা এডজাস্টম্যান করা জরুরি, যত তাড়াতাড়ি হয় ততোই ভালো।’
দ্বিতীয় ওয়ানডের সময় চোট পেয়েছিলেন লিটন দাস। তবে সে চোট গুরুতর কিছু না হওয়ায় শেষ ম্যাচেও তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে নামবেন তিনি। এরপর তিনে সৌম্যকে খেলানো নিয়েই ভাবছে দল, ‘অবশ্যই এটা নিয়ে আলোচনাতো করতেই হবে। আমি সব সময় চাইবো সৌম্য ওপেন কিংবা ওয়ান ডাউনে ব্যাট করুক। যদি না ডানহাতি কিংবা বাঁহাতি কম্বিনেশন সমস্যা না হয়। এই কম্বিনেশন যে কোন দলের জন্য প্রথম দশ ওভারে সবথেকে সেরা আইডিয়া। তারপরও সৌম্য থাকলে সুবিধা দলের জন্য।’
প্রথম দুই ম্যাচে কেন চার ওপেনার খেলাতে হয়েছে সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মাশরাফি। জিম্বাবুয়ে সিরিজে এত রান করেও না খেলালে দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির জন্য সেটা কঠিন হত, ‘প্রথম ম্যাচের দিকে তাকান ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন দাঁড় না করালে ইমরুল ওপেনিংয়ে প্রথম পছন্দ থাকতো। ৩৫০ রান করানোর পরও তাকে বসিয়ে রাখা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের কালচারে এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে সৌম্য ফর্মে ছিল, এশিয়া কাপেও সাতে ব্যাটিং করে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সে রান করছিল। সবকিছু মিলিয়ে চিন্তা করলেও সৌম্যর জন্য সেরা জায়গা হচ্ছে তিন নম্বর বা ওপেন। বাদ বাকি বিষয়গুলো আলোচনা করতে হবে।’
ঢাকায় প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৯ বলে হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ৪ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজের ১-১ এ সমতায় ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামীকাল সিলেটে অনুষ্ঠিত সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচ।