হারের খাতায় আরও একটি ম্যাচের নাম জমা হলো বাংলাদেশের। তাও আবার হোম ক্রিকেটে। সিরিজের এক ম্যাচ জয় নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে খেলতে নেমেও শেষ ওভারে হারের স্বাদ গ্রহণ করেছে টাইগাররা।
ম্যাচের শেষ দিকে একটু এদিক-ওদিক হলেই বদলে যেত ফলাফল। তবে সেটা আর হয়নি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের জয় তুলে নিয়েছে ঠিকই।তবে অধিনায়ক মাশরাফির মতে, বাংলাদেশ ব্যাটিং-ফিল্ডিং দুইধাপের ভালো করতে পারেনি টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে এক পর্যায়ে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। তিনজন সেট ব্যাটসম্যান ফিফটি পেরিয়েও শেষটা করতে পারেননি। ভালো গতি নিয়েই ছুটে চলা ট্রেন তাই লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সেট ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে যাওয়াতে শেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ তুলতে পারে মাত্র ২৬ রান।
২৫৫ রান করেও খেলা শেষ দিকে টেনে নিয়ে আশা জিইয়ে রেখেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। এক পর্যায়ে ৩ ওভারে ৩২ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে নাজমুল ইসলাম অপুর হাত গলে বেরিয়ে যায় কেমো পলের পর পর দুই ক্যাচ। এর আগে শেমরন হেটমায়ারের ক্যাচ ছাড়েন ইমরুল কায়েস। ক্যাচ ফেলার দিনে শেষ বলে গিয়ে হারে বাংলাদেশ।
১৪৬ রান করে অপরাজিত থেকে বাংলাদেশের আশা নিভিয়ে দেন শাই হোপ। তিনি একাই করেছেন ১৪৬ রান। স্বীকৃতি স্বরূপ হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।
হারের পর ব্যাটিং-বোলিংয়ের দুই ধাপের কারণকেই বড় করে দেখছেন অধিনায়ক। বলেন, ‘১৫/২০ রান আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল। তামিম আর সাকিব ব্যাট করলে হয়ত রান তিনশোর কাছেও যাওয়ার সুযোগ ছিল। রিয়াদ আর সাকিব ব্যাট করছিল। ওরা যদি ছয়-সাত ওভার ব্যাটিং করত তাহলে হয়ত রান ২৭০/২৮০ হয়ে যেত।’
‘আর ফিল্ডিং এ অবশ্যই ক্যাচ ড্রপগুলো খরুচে হয়ে গেছে। বিশেষ করে পলের পর পর দুইটা ক্যাচ মিস হয়েছে। কেমার রোচ আসলে হয়ত প্রান্ত বদল ওদের জন্য কষ্ট হয়ে যেত আরকি’ -বলেন মাশরাফি।
এ হারে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ এ সমতায় ফিরলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ। আগামী ১৪ ডিসেম্বর সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। শেষ ম্যাচটি এখণ অনির্ধারিত ফাইনালে পরিণত হলো। ওই ম্যাচের বিজয়ী দলই হবে সিরিজের চ্যাম্পিয়ন।