সাকিব-তামিমের অনুপস্থিতিতে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নৈপুণ্য দেখিয়েন ইমরুল কায়েস, লিটন দাস আর সৌম্য সরকার। কিন্তু ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব-তামিম। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে কাকে বাদ দিয়ে কাকে খেলাবেন বুঝতে পারছেন না টাইগারদের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস।
দলে কাকে নিবেন তা নিয়ে কতটা চিন্তিত কোচ। তার কথাতেই অনেকটাই পরিষ্কার। কোচ স্টিভ রোডস বলেন, ‘বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য এটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত (ওপেনার বেছে নেওয়া), এতে প্রমাণ হয় কি দারুণ জায়গায় আমরা আছি। আমরা চাইছিলাম দলের গভীরতা বাড়াতে, এখন সেটা কিছুটা বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘ইমরুল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৪৯ রান করেছে। তামিম ফিরে এসেই সেরা ছন্দ দেখিয়েছে। লিটন ৮০ রানের উপর খেলেছে, এশিয়া কাপের ফাইনালের মতো মঞ্চে সেঞ্চুরি করেছে। তিনে নেমে সৌম্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করল, প্রস্তুতি ম্যাচে করল আরেকটা। চূড়ান্ত একাদশ কি হবে আমি এখনো বুঝতে পারছি না।’
কোচের এমন চিন্তাটা কতটা যৌক্তিক, তা কয়েক টুর্নামেন্টে চোখ ভুলালেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়। সাকিব-তামিম যেমন দলর জন্য বড় সহায়ক ঠিক তেমনি দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ইমরুল কায়েস, লিটন দাস আর সৌম্য সরকারও দলে সুযোগ পেয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন।
গত এশিয়া কাপের আগে ওপেনিং নিয়ে ভালোই সমস্যা ছিল বাংলাদেশের। এশিয়া কাপের ফাইনালের ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে সমাধানের পথ দেখান লিটন দাস। এরপর ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে তামিম না থাকার সুযোগে লিটনের সঙ্গী হয়ে বাজিমাত করেন ইমরুল।
তিন ম্যাচের সিরিজে দুই সেঞ্চুরি আরেকটি প্রায় সেঞ্চুরি করে করেন রেকর্ড ৩৪৯ রান। ওই সিরিজে দুই ম্যাচে রান না পেলেও এক ম্যাচে লিটনের ব্যাট থেকে আসে দৃষ্টিনন্দন ৮৩ রানের ইনিংস।
তবে ‘কাকে রেখে কাকে নেওয়া’ চাপ টা কে ভালো ভাবেই দেখছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন। তিনি বলেন, ‘দলে জায়গার জন্য এই যে তীব্র লড়াই এটা আমাদের দলের জন্য খুব ভালো। বোঝা যাচ্ছে ব্যাকআপ ক্রিকেটাররাও যথেষ্ট ভালো অবস্থানে আছে। সুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকলে দল সবসময় ভালো অবস্থানে থাকে। অবশ্যই আমি মনে করি যে, দলে এই প্রতিযোগিতা থাকা ভালো। আর যখন যাকে দরকার হবে তখন তাকে খেলানো হবে।’