বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা আনলো অসিরা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে ভালো শুরু করতে পারেনি তারা। দলীয় ১২ রানে ৮ রান করা ওপেনার ট্রাভিস হেড ফিরে যান। এরপর ২২ রানে থেমে যান তিন নম্বরে নামা শন মার্শ। এরপর চলিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেন ওপেনার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ, ক্রিস লিন ও উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। ক্যারি ৪৭, লিন ৪৪ ও ফিঞ্চ ৪১ রান করেন।
অস্ট্রেলিয়ার আর কোন ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ২শ’ রানের আশেপাশে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে দল। ২০৪ রানে নবম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দশম ও শেষ উইকেটে ২৭ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার লড়াই করার পুঁজি এনে দেন দলের শেষ দু’ব্যাটসম্যান এডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজেলউড।
জাম্পা ২২ রানে আউট হলেও ১০ রানে অপরাজিত থাকেন হ্যাজেলউড। শেষ পর্যন্ত ৪৮.৩ ওভারে ২৩১ রানে অলআউট হয় অসিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ৪টি ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ৩টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ২৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিস ও ডেভিড মিলার পঞ্চম উইকেটে ৮৮ বলে ৭৪ রান চাপ সামাল দেন। কিছু সময়ের জন্য ম্যাচে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ডু-প্লেসিস ৪৭ রানে ফিরলে দলের একমাত্র ভরসা হিসেবে ক্রিজে ছিলেন মিলার। কিন্তু ৪৪তম ওভারে দলীয় ১৮৭ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন মিলার। ৫১ রান করেন তিনি। তার আউটের পরই হার নিশ্চিত হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। শেষ পর্যন্ত পুরো ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ২২৪ রান করতে সক্ষম হয় প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টোয়িনিস ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ফিঞ্চ।
হোবার্টে আগামী ১১ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। ১-১ এ সমতায় ফেরায় শেষ ম্যাচটিই অঘোষিত ফাইনালে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ সেই দিনই নির্ধারিত হবে কাদের হাতে উঠছে সিরিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর কার্ড
অস্ট্রেলিয়া : ২৩১/১০, ৪৮.৩ ওভার (ক্যারি ৪৭, লিন ৪৪, রাবাদা ৪/৫৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২২৪/৯, ৫০ ওভার (মিলার ৫১, ডু-প্লেসিস ৪৭, স্টোয়িনিস ৩/৩৫)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ৭ রানে জয়ী।
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা।