জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বিতীয় ওয়ানডেটি।
ম্যাচের ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদি হাসান মিরাজের জোরাল আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নেন ব্রেন্ডন টেলর। রিপ্লেতে দেখা যায় খানিকের জন্য লেগস্টাম্প মিস করছে বল। বেঁচে যান টেলর, যেন বেঁচে গেল জিম্বাবুয়ের ইনিংসও। কারণ ডানহাতি এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ব্যাটেই যে এগিয়ে চলেছে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
৭০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর শন উইলিয়ামসকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেছেন টেলর। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩৫তম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ২১তম ওভারে দলীয় শতক পূরণ করেছেন জিম্বাবুয়ে।
এর আগে শুরুর স্পেলটা ঠিক মনের মতো করতে পারেননি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। যে কারণে মাত্র দুই ওভার করেই ডেকে নেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন এ ডানহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ইনিংসের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন সাইফউদ্দিন। অফস্টাম্পের বাইরে পড়ে হালকা সুইংয়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ২ চারের মারে ১৮ বলে ১৪ রান করেন মাসাকাদজা।
শুরুতেই অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজার উইকেট হারালেও চাপ সামলে উঠছিল সফরকারী জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেটে স্বাছন্দ্যেই রান তুলছিলেন ওপেনার সেফাস ঝুয়াও এবং অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেলর। তবে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ঝুয়াওকে ফিরিয়ে দিয়ে জুটি ভেঙেছেন অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
পঞ্চম ওভারেই মাসাকাদজার বিদায়ের পরে মাত্র ৪৩ বলে ৫২ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন ঝুয়াও এবং টেলর। দশম ওভারে বোলিং করতে এসে নিজের প্রথম ওভারে ১১ রান খরচ করে ফেলেন মিরাজ। দ্বিতীয় ওভারের ৫ বলেও দিয়ে ফেলেন সমান ১১ রান। তবে ওভারের শেষ বলেই কাজের কাজটি করে দেন এ তরুণ অফস্পিনার।
আগের বলেই সুইপ শটে বাউন্ডারি মারার পরের বলে বোলারের মাথার উপর দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন ঝুয়াও। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলায় ধরা পড়েন লংঅফে দাঁড়ানো ফজলে রাব্বির হাতে। আউট হওয়ার আগে ১টি করে চার ও ছক্কার মারে ২০ রান করেন ঝুয়াও।
বাংলাদেশ একাদশ
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, ফজলে মাহমুদ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিথুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাজমুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), চেপাস ঝুয়াও, ব্রেন্ডন টেইলর (উইকেটরক্ষক), সিন উইলিয়ামস, পিটার মুর, এলটন চিগুম্বুরা, সিকান্দার রাজা, ডোনাল্ড তিরিপানো, ব্রেন্ডন মাভুতা, কাইল জার্ভিস ও তেন্ডাই চাতারা।